নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪৫১ আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন, গ্রেপ্তার ৩০ জন
নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ কারাবন্দির মধ্যে শুক্রবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত ৪৫১ জন বন্দি নরসিংদী আদালতের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছেন। এছাড়া পুলিশ ৩০ জনকে ফৌজদারি অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে।
এ নিয়ে সর্বমোট ৪৮১ জন কারাবন্দিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার একই পরিবারের তিনজন আদালতের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছেন। এছাড়া আরেকজন বন্দিকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নরসিংদীর জেলা প্রশাসক বদিউল আলম জানান, 'কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪৭ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে ৪১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।'
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নরসিংদী জেলা কারাগারে দলবেঁধে হামলা হয়। হামলাকারীরা মূল কারাগারের ভেতরে ঢুকে সেলগুলো শাবল ও লোহার জিনিসপত্র দিয়ে ভেঙে কয়েদিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। কিছু কারারক্ষীর কাছ থেকে চাবি নিয়েও সেলের তালা খোলা হয়।
বন্দি ছিনতাইয়ের ঘটনায় কারাগারের জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষ ও অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় ১১টি মামলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নয়জন পলাতক জঙ্গির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসপি ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়ে বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী বাহিনী ও দুর্বৃত্তরা' জুমার নামাজের পর জেলা কারাগারসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালায়।
হামলাকারীরা বন্দিদের পালাতে সহায়তা ও অস্ত্র লুট করে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
মোস্তাফিজুর আরও জানান, লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৫টি ও ১ হাজার ৯১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য ফারুক আহমেদ রয়েছেন।
২২ জুলাই ৫ জন, ২৩ জুলাই ১২৯ জন, ২৪ জুলাই ১৮৩ জন ও ২৫ জুলাই ১৩০ জন কারাবন্দি আত্মসমর্পণ করেন। এছাড়া ২৩ জুলাই ১৯ জন, ২৪ জুলাই ৭ জন ও ২৫ জুলাই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।