ঘূর্ণিঝড় দানা: ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটি ভেঙে দ্বিখণ্ড
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাবে কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে নির্মিত নৌবাহিনীর জেটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন।
তিনি বলেন, "কী কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
এদিকে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে একটি বার্জের ধাক্কায় জেটিটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে
সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। গতরাত ২-৩টার সময় ছিল পূর্ণ জোয়ার। এ সময় ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় জেটির সাথে বাঁধা একটি ছোট বার্জের ধাক্কা লাগে; এতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেটি ঘাটের চা দোকানী আবদুল মাজেদ জানিয়েছেন, "বার্জটি জেটির সাথে বেঁধে রাখায় মধ্যরাত থেকে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এ সময় কেউ জেটিতে এবং বার্জে ছিল না। এমনকি, রাত ২-৩টার দিকে জেটি ভেঙে যাওয়ার পরও সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো লোককে জেটির আশেপাশে দেখা যায়নি।"
জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক শাখার একজন কর্মী জানিয়েছেন, "গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে কাজ করছিল। এসব নৌযান সরিয়ে না রাখার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।"
সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌমহড়া অনুষ্ঠানের জন্য জেটিটি নির্মাণ করেছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দীর্ঘ সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটি নির্মাণ করার বিরুদ্ধে সে সময় আওয়াজ তুলেছিলেন পরিবেশবাদীরা।
এমনকি, ২০২২ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছিলেন জেটিটি অপসারণের জন্য। ফোরাম সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন জানান, "আদালতের রুল জারির পরেও জেটি অপসারণ করা হয়নি।"
এদিকে, গত বছর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক জাহাজ আসা-যাওয়া করছিল উক্ত জেটি দিয়ে। আগামী ১ নভেম্বর থেকেও জেটি দিয়ে দ্বীপে যাতায়াতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল জাহাজ কোম্পানিগুলো।