ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেলা সাড়ে ১১ টায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ১৪ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। তবে তিনি ছুটিতে থাকায় আজ ২৪ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০ জনের মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রোমেল মোল্লা বলেন, মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হককে এই মামলায় খালাস দিয়েছে আদালত।
মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ করার পর আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে মামুনুল বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এ রায়ের মাধ্যমে দেশের আলেম সমাজ কলঙ্ক মুক্ত হলো।
এদিকে রায় ঘোষণার পর মামুনুল হক জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের লোকজন তাকে ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এ রায়ের মাধ্যমে দেশে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।