জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। পরে সেই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। তার আপিল মঞ্জুরের পর আজ খালাস ঘোষণা করে রায় দিলেন আদালত।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের নভেম্বরে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে পরের বছর ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও আরও তিনজন তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অজ্ঞাত উৎস থেকে ট্রাস্টের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদাসহ বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
পরে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর, বিচারপতি আখতারুজ্জামান রায়ে বলেন, চার আসামি পারস্পরিক সহযোগিতায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার জন্য অজ্ঞাত সূত্র থেকে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ট্রাস্টের নামে জমি কেনার প্রক্রিয়ায় আরও ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে অনিয়ম হয়েছে।
আদালত বলেন, ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাস্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোত ৭.৮১ কোটি টাকা জমা হয়; তবে এই টাকাটি কোনো দাতব্য কাজে ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি, ক্রয়কৃত জমি ট্রাস্টের নামে মিউটেশন বা নামজারিও করা হয়নি।
প্রথম ম্যানেজিং ট্রাস্টি হিসেবে খালেদা জিয়া ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের পিএমও শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ১৩ জানুয়ারি থেকে পরের এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অ্যাকাউন্টটিতে ৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা জমা হয়। রায়ে বিচারক বলেন, "প্রসিকিউশন এ ব্যপারে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।"