জমি রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়া তরান্বিত করার সিদ্ধান্ত কেইপিজেডের
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) পরিচালনা পর্ষদ জমি রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়া তরান্বিত করা এবং বন্ড লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিল্প পার্কটিকে বিদেশি বিনিয়োগের একটি কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কেইপিজেড পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে এটি ছিল সরকার প্রধানের সভাপতিত্বে পরিচালিত কেইপিজেড পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে ভূমি অধিকার, বন্দর ও শুল্ক, শ্রম আইন এবং বিনিয়োগকারী সহায়তা ব্যবস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটি কার্যনির্বাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেইপিজেডের জন্য বাকি ভূমি হস্তান্তর যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করার, অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর মডেল চালু করার, বন্ড লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করার এবং শ্রম আইনের বিষয়ে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরাসরি সিএও'র প্রশাসন থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আওতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলো বিনিয়োগকারীরাদের কাছে বাংলাদেশে ব্যবসায় সম্ভাবনার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, 'আমাদের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে, যাতে তারা আমাদের প্রচারক হয়ে উঠতে পারে। একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে, কেপিজিতে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করার এবং সেগুলো সমাধান করার জন্য বিডাতে একটি পৃথক সোয়াট টিম গঠন করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। আজকের সফল বৈঠক প্রমাণ করছে যে, সরকারও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে পারে।'
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, 'আজকের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে নতুন ধরনের সরকার পরিচালনার উদাহরণ, যা সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমরা আশা করি যে একটি দ্রুত সংস্কার ব্যবস্থা অনেক বিনিয়োগ সমস্যাকে অচিরেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলবে।'
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের মালিকানাধীন কেইপিজেডে বর্তমানে ৪৮টি অত্যাধুনিক শিল্প ইউনিটে ৩৪ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নিযুক্ত রয়েছেন। কেইপিজেডের আড়াই হাজার একর জমির ৫২% সবুজ জায়গা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।