ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও চালের বাজার এখনও চড়া
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/01/chicken-reuters.jpg)
রাজধানীর বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা কমেছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন ক্রেতারা। তবে ব্রয়লারের দাম কমলেও আগের মতোই চড়া রয়েছে চালের দর।
এদিকে আবার সরবরাহ বাড়ায় বাজারে দাম কমেছে প্রায় সব ধরনের সবজির।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার কল্যাণপুর, কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ান বাজারের আদর্শ কিচেন হাউজের বিক্রেতা মোহম্মদ ফিরোজ বলেন, "দুই সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০-২১০ টাকা; এখন ১৮৫- ১৯০ টাকা কেজি।"
এদিকে, বাজারে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শালগম, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের লাউ ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কল্যাণপুরে কথা হয় আবু সুফিয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, "সবজিতে কিনতে স্বস্তি। ১০০ টাকার সবজি কিনলে ব্যাগ ভরে যায়। তবে কৃষকের সবজি বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে, এতে কষ্ট লাগছে। ভয় হচ্ছে এই ভেবে, আগামী বছর যদি তারা সবজি চাষ কমিয়ে দেয়।"
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কমেছে ৫৭ শতাংশ। এখন মান ভেদে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। গত বছর এই সময়ে দাম ছিল প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের আলু বিক্রেতা মোহম্মদ মামুন বলেন, "আলুর দাম পাইকরি বিক্রি করছি ৫ কেজি ৯০ টাকা। দাম আরও কমবে। খুচরা বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি ২০-২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।"
চালের দাম এখনও বাড়তি
এদিকে, এখনও বাড়তি রয়েছে দাম চালের। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল ৮২ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি ধরনের চাল ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৫ টাকায়।
টিসিবির হিসেবে গত এক মাসের ব্যবধানে সরু ও মোটা চালের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ০.৬৫ শতাংশ ও ৬.৬৭ শতাংশ। মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। আর নাজির ও মিনিকেট চাল কেজি মানভেদে ৭০-৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের ঘাটতি
এদিকে, রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল মিলছে না। বিক্রিতারা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হচ্ছে।
কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিআরটিসি মার্কেটের মুদি দোকানদার আলমগীর হোসেন বলেন, "এক লিটার বোতলজাত তেল পাচ্ছি না। কোম্পানিগুলো ৫ লিটার ও ২ লিটারে তেল দেয়। সেটাও চাহিদার চেয়ে কম দিচ্ছে। সরকাররের এখনই কঠোর মনিটরিং করা উচিত, না হলে রমজান ঘিরে আবার ভোজ্য তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।"