এমভি অভিজানের মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
এমভি অভিজান-১০ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় লঞ্চের চারজন মালিকসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। নৌ-আদালতের বিশেষ মেট্রপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জয়নাব বেগম নৌ-বিভাগের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই আদেশ জারি করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন: 'মেসার্স আল আরাফ এন্ড কোম্পানি'র চারজন মালিক হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহমেদ, মো. রাসেল আহমেদ এবং ফেরদৌস হাসান রাব্বী, লঞ্চের মাস্টার ইন চার্জ মো. রিয়াজ শিকদার, ড্রাইভার ইন চার্জ মো. মাসুম বিল্লাহ, সেকেন্ড মাস্টার মো. খলিলুর রহমান এবং সেকেন্ড ড্রাইভার আবুল কালাম।
নৌ বিভাগের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান অভ্যন্তরীণ নৌ আদেশ (আইএসও), ১৯৭৬, অনুযায়ী এই মামলাটি করেন।
নৌ বিভাগের সূত্র থেকে জানা যায়, আইন অনুযায়ী রবিবারে লঞ্চটির ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিষ্ট্রেশন, এবং ড্রাইভারদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, লঞ্চটিতে পর্যাপ্ত অগ্ন নির্বাপক সামগ্রী ছিল না। এছাড়া, লঞ্চে অননুমোদিত ডিজেলের ড্রাম এবং রান্নার জন্য অতিরিক্ত সিলিন্ডার গ্যাস মজুদ ছিল। এগুলো আইএসও'৭৬ আইন এবং ২০০৫ এর সংশোধনীর ৫৬, ৬৬ এবং ৭০ ধারা অনুযায়ী দন্ডণীয় অপরাধ।
বরিশাল নৌ বিভাগের পরিদর্শকের দেয়া প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী এই মামলা করা হয়েছে। গত শুক্রবার লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪২ জন মানুষ মারা গিয়েছেন।