'একদিনে এক কোটি টিকাদান': অনিবন্ধিতরাও পাবে ১ম ডোজ টিকা
চলমান কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে ১ম ডোজের আওতায় আনতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে "একদিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম" | এই বিশেষ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সরকার দেশের সকলকে ১ম ডোজ কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রমও জোরদার করা হবে। এই কার্যক্রমের আওতায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সকলেই ১ম ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকার আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে অতিরিক্ত অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেশের ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬১ শতাংশকে ১ম ডোজ ও ৪৬ শতাংশকে ২য় ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ সম্পন্ন করেছে। ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি ১২-১৭ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীকেও টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখের বেশি মানুষকে ৩য় বা বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রামাঞ্চলে ন্যূনতম ১৬,০০০ ও শহরাঞ্চলে (পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন) ৮,৫০০ অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হবে।
প্রায় ৭০ হাজারের মতো ভ্যাক্সিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছেন এই কর্মসূচী সফল করার জন্য। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগসমূহে চাহিদা মোতাবেক বুথ, ভ্যাক্সিনেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সরকার দেশের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে যথাসময়ে টিকা প্রদান ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে সফল হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী টিকার অপ্রতুলতা সত্ত্বেও সরকার পর্যাপ্ত টিকা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে দেশে ৬ প্রকারের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসন) মোট প্রায় ১০ কোটি ডোজ কোভিড-১৯ টিকা মজুদ রয়েছে।