পদ্মা সেতুতে অ্যাম্বুলেন্সের টোল ফ্রি করার দাবি জাফরুল্লাহর
পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী অ্যাম্বুলেন্সের টোল ফ্রি করার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ সকালে লুঙ্গি পরে হুইল চেয়ারে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যান তিনি।
তিনি বলেন, "আজকে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের যোগসূত্র, প্রধানমন্ত্রী সাহসী উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি, সেজন্য আমরা আনন্দিত। তবে ওনার কাছে আমার একটাই আবেদন থাকবে, এই পদ্মা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের যেন টোল ফ্রি থাকে, আর বিদেশিদের জন্য ডবল ট্যাক্সের ব্যবস্থা থাকে।"
পদ্মা সেতুর নাম 'হাসিনা সেতু' দেওয়ার দাবি উঠলেও প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করায় তাকে সাধুবাদ জানান তিনি।
"উনার প্রজ্ঞাটা অন্য কারণে, সবাই উনাকে বলছিল- এটার নাম হাসিনা ব্রিজ করা হোক। উনি করেননি, উনি করেছেন পদ্মা ব্রিজ", বলেন জাফরুল্লাহ।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মত প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী একটা বিরাট কাজ করেছেন। ভয়ানক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। উনার পিতা যেমন একটা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন ৭-ই মার্চ, উনি আজকে তাই করেছেন।"
"এটা ভবিষত সুদূর প্রসারি..., প্রমাণ করেছেন উনি, সাহসী। উনি জাতিকে যে উপহার দিয়েছেন, আমরা তাকে মাথায় উঠিয়ে রাখব। আমরা গৌরবান্বিত বোধ করছি।"
তিনি আরও বলেন, "উনি বড় কাজগুলো করেই ফেলেছেন। এখন উনাকে নজর দিতে হবে দেশের ছোট মানুষগুলোর দিকে। উনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি, উনার সুস্থতা কামনা করছি। আমরা একত্রে মিলে সুন্দর বাংলাদেশের অব্যাহত স্বপ্ন দেখছি।"
আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঁঠালবাড়িতে পৌঁছানোর পর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ১১টায় মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
দেশের অর্থনীতিতে সেতুটির অবদান হবে জিডিপিতে ১.২ শতাংশ ও আঞ্চলিক জিডিপিতে ২.৫ শতাংশ।
শতভাগ দেশীয় অর্থায়নে ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এ সেতু।
১৯৯৯ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার মাধ্যমে এ প্রকল্প শুরু হয়। এরপর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়েছে, বিতর্কের শিরোনাম হয়েছে এ প্রকল্প।
২০১৫ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বিদেশি সাহায্য আসার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর নদীর গভীরতা বাড়ায় কাজ পিছিয়ে যায়।