ক্যানসারের কাছে হার মানলেন ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ চ্যাডউইক বোসম্যান
কোলন ক্যানসারের সঙ্গে চার বছরের লড়াই শেষে হার মানলেন হলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র 'ব্ল্যাক প্যান্থার'-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা চ্যাডউইক বোসম্যান। ৪৩ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
অভিনয় জগতে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার অধিবাসী বোসম্যানের আবির্ভাব ঘটে টেলিভিশন ড্রামা 'থার্ড ওয়াচ', 'ল অ্যান্ড অর্ডার' ও 'ইআর'-এর মাধ্যমে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজ বাসায় মৃত্যুকালে তার পাশে ছিলেন স্ত্রী ও পরিবার। শুক্রবার তার মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করা হলেও ঠিক কখন মারা গেছেন, সেটি নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
চলচ্চিত্র জগতে বোসম্যান পা রাখেন ২০০৮ সালে, স্পোর্টস বায়োপিক 'দ্য এক্সপ্রেস'-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। হেইসম্যান ট্রফিজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়, কলেজ ফুটবল হিরো এর্নি ডেভিসের জীবনীভিত্তিক ছিল ওই চলচ্চিত্র।
সোল সিংগার জেমস ব্রাউনের ওপর 'গেট অন আপ', সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি থারগুড মার্শালের ওপর 'মার্শাল' ও বেসবল পাইওনিয়র জেকি রবিনসনের ওপর '৪২'- এ রকম বেশ কিছু জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রেও তাকে দেখা যায়।
তবে 'ব্ল্যাক প্যান্থার' চলচ্চিত্রে কাল্পনিক রাজ্য ওয়াকান্ডার রাজা টি'চ্যালা ওরফে ব্ল্যাক প্যান্থার চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই প্রথম কোনো মেজর স্টুডিও সুপারহিরো সিনেমার প্রধান চরিত্রে প্রধানত কোনো আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেতাকে নেওয়া হয়েছিল।
এ বছরের জুনে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়া ও খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করা হলিউডের তিন শতাধিক কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকারের মধ্যে শুরুর দিকেই ছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে তার শরীরে কোলন ক্যানসার ধরা পড়ে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়নি।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে কিংবদন্তি মানবাধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের কন্যা বার্নিস কিং টুইটবার্তায় লিখেছেন, 'আমরা কোনোদিনও বুঝতে পারব না মানুষকে কতটা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়...। আমরা, মানুষেরা ক্ষত-বিক্ষত হই। চ্যাডউইক, আপনাকে ধন্যবাদ এই যন্ত্রণাদায়ক লড়াইয়ের মাঝেও আমাদেরকে আপনার মহত্বের উপহার দেওয়ার জন্য।'
চ্যাডউইক বোসম্যান অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে 'দ্য কিং হোল', 'ড্রাফট ডে', 'গডস অব ইজিপ্ট', 'ক্যাপ্টেম আমেরিকা: সিভিল ওয়ার', 'অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার', 'অ্যাভেঞ্জারস: এন্ড গেম' প্রভৃতি।
- সূত্র: রয়টার্স