২০০ কোটি রুপি অর্থপাচার মামলায় জামিন, স্বস্তিতে জ্যাকলিন
২০০ কোটি রুপির আর্থিক তছরুপের মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাতিয়ালা কোর্টের নির্দেশে ২ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন এই শ্রীলঙ্কান সুন্দরী। জ্যাকলিনের অন্তর্বতীকালীন জামিনের মেয়াদ গতকাল শেষ হচ্ছিল, ফলে এর মধ্য দিয়ে নায়িকাকে এই মামলায় বড় রেহাই দিল দিল্লির আদালত।
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেটের (ইডি) পক্ষ থেকে আদালতের কাছে জ্যাকলিনের জামিন খারিজের আবেদন জানানো হয়েছিল, বলা হয়েছিল- দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন জ্যাকলিন। পাশাপাশি এই মামলার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছেন জ্যাকলিন, এমনও অভিযোগ নায়িকার নামে। যদিও সেই শঙ্কা আগেই উড়িয়েছেন অভিনেত্রীর আইনজীবী। তদন্ত আগেই শেষ হয়েছে, ইতিমধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে, নতুন করে তদন্তের প্রয়োজনে জ্যাকলিনকে হেফাজতে নেওয়ার দরকার নেই- অভিনেত্রীর কৌঁসুলির এই দলিল মেনে নিয়েছে আদালত। এর আগে গত ২৬শে সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বতী জামিন পেয়েছিলেন 'রাম সেতু' অভিনেত্রী।
শুনানিতে হাজির ছিলেন জ্যাকলিন নিজে। মামলার সওয়াল-জবাব চলাকালীন ইডিকে বিচারক প্রশ্ন করেন, 'যদি তথ্য-প্রমাণ থেকে থাকে তাহলে এতদিন তদন্ত চলাকালীন কেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে গ্রেপ্তার করা হয়নি? অন্য অভিযুক্ত (সুকেশ চন্দ্রশেখর) তো জেলে রয়েছেন।'
গত ১৭ই আগস্ট দিল্লি হাইকোর্টে পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট স্পষ্ট জানিয়েছে, জেলবন্দি জালিয়াত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে লাভবান হয়েছেন জ্যাকলিন। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের কালিমালিপ্ত অতীতের কথা জেনেও কেবলমাত্র টাকার লোভে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন অভিনেত্রী, দাবি ইডির।
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে জ্যাকলিনের দাবি, তিনি নিজেই প্রতারণার শিকার। সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং তার সহযোগীদের অপরাধমূলক কাজের ফল ভুগতে হচ্ছে তাকে। নিজেকে 'পরিস্থিতির শিকার' বলে উল্লেখ করেছেন জ্যাকলিন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২০০ কোটির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সুকেশ এবং তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পল। গ্রেপ্তারের পর সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। ফাঁস হয় দুজনের অন্তরঙ্গ ছবিও। তদন্তকারীদের সুকেশ জানায়, অভিনেত্রীকে ৫.৭১ কোটি রুপির উপহার দিয়েছে সে।