অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিক জিয়াউদ্দিন গ্রেপ্তার
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রাফিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব হেডকোয়ার্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আল আমিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে রাফিকে কখন এবং কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। এদিকে হুমায়রা হিমুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদা খাতুন জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টার দিকে অভিনেত্রী হিমুর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আচমকা হিমুর মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে রহস্য। কেননা সুরতহালে অভিনেত্রীর গলায় রশির দাগ পাওয়া গেছে।
এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে হিমুকে তার ছোট বোন মিহির ও প্রেমিক রাফি উত্তরার বাংলাদেশ মেডিক্যালে নিয়ে যান। তারা জানান, তিনি অসুস্থ।
এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক হিমুকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই তার সাথে থাকা প্রেমিক রাফি হিমুর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করেছেন হুমায়রা হিমু। ১৯৯৯ সালের পর থেকেই মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
অভিনয়জীবনের প্রথমদিকে বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছিলেন হিমু। তাকে এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়। এরপর আরও কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ — তারপর নাটকে অভিনয়ের সুযোগ আসে।
ছায়াবিবি ধারাবাহিক নাটকটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রধান কাজ। ২০১১ সালে আমার বন্ধু রাশেদ চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখেন হিমু। সিনেমাটিতে তরু আপা চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
হিমুর আসল নাম হুমায়রা নুসরাত হিমু। কিন্তু বিনোদন দুনিয়ায় কাজ করতে এসে পর্দায় তিনি হন হুমায়রা হিমু। অভিনেতা টনি ডায়েসের অনুপ্রেরণাতেই নতুন নামের অবতারণা। এক সাক্ষাৎকারে হিমু একবার জানিয়েছিলেন, টনি ডায়েস তাকে বলেছিলেন, পৃথিবীর সব বিখ্যাত মানুষদের নাম দুই শব্দে হয়।
ছোটবেলা থেকেই নাটকে কাজ করার ইচ্ছে ছিল হিমুর। কিন্তু সেই সঙ্গে এয়ার হোস্টেজ হতেও চেয়েছিলেন। দুটো ইচ্ছের একটি জয়ে তিনি দিব্যি সফল হয়েছেন।
হিমুর অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনেনা সে শোনেনা ইত্যাদি।