১৯ মিলিয়ন ডলারের ছবি, আয় ২৭৫ মিলিয়ন, ১৬ মিনিটের অভিনয়েই অস্কার অভিনেতার
১৯৯১ সালে একটি ছোট বাজেটের সিনেমা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। কাহিনীর গম্ভীরতা, অসাধারণ অভিনয় এবং স্মরণীয় চরিত্রের কারণে আজও 'দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস' সিনেমাটি আজও চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাসপেন্স-থ্রিলার হিসেবে বিবেচিত হয়।
ভ্যালেন্টাইনস ডেতে মুক্তিপ্রাপ্ত 'দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস' একটি স্বল্প বাজেটের সিনেমা ছিল, যা ধীরে ধীরে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং বক্স অফিসে সফল হয়। জনাথন ডেমের পরিচালনায় এই ছবি শুধু শিল্প হিসেবেই প্রশংসিত হয়নি, বরং হলিউডে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রেখেছে। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন জোডি ফস্টার, অ্যান্থনি হপকিন্স, টেড লেভিন, স্কট গ্লেনসহ হলিউডের নামকরা অনেকেই।
এই আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল হরর সিনেমাটি বেস্ট ফিল্ম, বেস্ট ডিরেক্টর, বেস্ট অ্যাক্টর, বেস্ট অ্যাক্ট্রেস এবং বেস্ট অ্যাড্যাপটেড স্ক্রিপ্ট সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার জিতেছে।
দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস ১৯৯১ সালে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা ছিল। এছাড়া, এর আইএমডিবি রেটিং ৮.৬।
সিনেমার বাজেট ছিল প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলার। তবে, এটি বক্স অফিসে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে আয় করে ২৭৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
সিনেমাটি বৃহস্পতিবার মুক্তি পায় এবং প্রথম দিনেই আমেরিকায় ১.৪ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি করে। কমস্কোরের তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের শেষে এর আয় দাঁড়ায় ১১.৬ মিলিয়ন ডলার।
কমস্কোরের সিনিয়র মিডিয়া বিশ্লেষক পল ডারগারাবেডিয়ান ব্যাখ্যা করেন, সিনেমাটি ১,৫০০-এর কম থিয়েটারে চালানো হয়েছিল, যা আধুনিক কালের বড় মুক্তির তুলনায় কম। বর্তমানে অনেক সিনেমা প্রায় ৫ হাজার ৪০০ সিনেমা হলে দেখানো হয়।
ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে আট মাস ধরে চলেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১৩০.৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।
অ্যান্থনি হপকিনস মাত্র ১৬ মিনিটের জন্য খলচরিত্র হ্যানিবাল লেকটার চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু তার অভিনয় এতটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যে, তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে অস্কার যেতেন।
বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে সিনেমাটি পরিচালনার জন্য অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানকে বিবেচনা করা হয়েছিল। তিনি প্রযোজকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে সিনেমার স্বত্ব অর্জন করেছিলেন এবং জ্যাক ক্রফোর্ড সিনেমায় অভিনয় করার পরিকল্পনাও করেছিলেন।
তবে, তিনি প্রজেক্টটি থেকে সরে যান এবং পরবর্তীতে সিনেমাটি পরিচালনা করেন জনাথন ডেম।
এই ছবিতে আকর্ষণীয় ক্যামেরার কাজ রয়েছে, যা ক্লোজ-আপের ধারণা নতুন করে উপস্থাপন করেছে এবং চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেছে।
সিনেমার কাহিনি অনুযায়ী, এফবিআই এজেন্ট ক্ল্যারিস স্টার্লিংকে (জোডি ফস্টার) কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার ড. হ্যানিবাল 'দ্য ক্যানিবাল' লেকটারের (অ্যান্থনি হপকিনস) চিন্তার ভেতর প্রবেশ করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্য , তরুণীদের অপহরণ করে হত্যা করা সিরিয়াল কিলার বাফেলো বিলের খোঁজ পেতে হ্যানিবাল লেকটারের সাহায্যের প্রয়োজন হয়।