পুতিনের পারমাণবিক হামলার হুমকির নেপথ্যে বাস্তবতা কী?
পশ্চিমা দুনিয়ার ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে ইউক্রেন। ইতোমধ্যেই তাতে মোড় ঘুরছে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের দেশটিতে চলমান যুদ্ধের । এই বাস্তবতায় ইউক্রেন থেকে অধিকৃত চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর হুঁশিয়ার করেই বলেছেন, অঞ্চলগুলি এখন রাশিয়ান ফেডারেশনের অংশ। আর নিজ ভুখণ্ড রক্ষায় ক্রেমলিন গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারে পিছপা হবে না। পুতিন বলেছেন, তার হুমকি 'ধাপ্পা' নয়; পশ্চিমাদের মতো রাশিয়ারও পারমাণবিক নখর আছে–আর ভূখণ্ডের নিরাপত্তা বিধানে রাশিয়া এ শক্তি ব্যবহারও করবে।
এশিয়া টাইমসে লেখা কলামে এ হুমকির প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেছেন প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিবেদক ড্যানিয়েল উইলিয়ামস। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা তার। ছিলেন লস এঞ্জেলস টাইমস ও মিয়ামি হেরাল্ডের-ও পররাষ্ট্র প্রতিবেদক। একাধারে তিনি মানবাধিকার গোষ্ঠী– হিউম্যান রাইটস ওয়াচের-ও সাবেক গবেষক। এশিয়া টাইমসে ৬ অক্টোবর প্রকাশিত তার বিশ্লেষণটির ঈষৎ পরিমার্জিত, ভাবানুবাদ টিবিএসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
বার বার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছেন পুতিন। রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে দখলীকৃত এলাকা মুক্ত করতে ইউক্রেনীয় বাহিনী অগ্রসর হতে থাকলে– এই হুমকিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়েছে তার বক্তব্যে। এমনকী ইউক্রেনের সমর্থক বৃহত্তর পশ্চিমা জোটের বিরুদ্ধেও একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে (রোববার পর্যন্ত) ইউক্রেনের দখলকৃত চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই উপলক্ষে ক্রেমলিনে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এসময় পুতিন বলেন, 'আমি চাই কিয়েভের শাসকগোষ্ঠী ও তাদের পশ্চিমা সমর্থকরা আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুক এবং বোঝার চেষ্টা করুক। (পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে) আমি মোটেও ধাপ্পা দিচ্ছি না'।
এর প্রতিক্রিয়ায় পরমাণু যুদ্ধের উত্তেজনা লাঘব করার চেষ্টা করতে গিয়ে, উল্টো আরও স্নায়ুচাপ সৃষ্টি করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি বলেন, 'এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না, যার ফলে মনে করা যেতে পারে তিনি (পুতিন) সত্যিই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আশ্বাসের পরেই আসে আঘাত। অস্টিন বলেন, 'পুতিনকে রোখার কেউ নেই। তিনি ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত এককভাবে নিয়েছেন। সেভাবেই আরেকটি সিদ্ধান্তও (পারমাণবিক হামলার) নিতে পারেন, কে জানে?'
গত মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ এক কর্মকর্তা কনস্ট্যান্টিন ভোরনস্টোভ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সহায়তা 'পরিস্থিতিকে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে (সম্ভাব্য) সরাসরি সামরিক সংঘাতের মতো এক বিপজ্জনক সীমারেখায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে'।
পাল্টাপাল্টি এই পরমাণু যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়– রুশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে বিপুল অঞ্চল মুক্ত করতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাফল্যের কারণে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এই আক্রমণ অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পুতিন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারেন। পরমাণু অস্ত্রই হবে যে প্রলয় সংঘাতের প্রধান হাতিয়ার। তবে এই সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি অন্য কিছু আগ্রাসী পদক্ষেপও নিতে পারেন।
যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের সিনেটর মার্কো রুবিও মনে করছেন, সরাসরি পরমাণু হামলার আগে ইউরোপীয় কোনো দেশের ভূখণ্ডে প্রচলিত বোমা হামলা চালিয়ে উস্কানি দিতে পারে রাশিয়া। বিশেষত, ইউক্রেনের প্রতিবেশী যেসব ইউরোপীয় দেশের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের রণাঙ্গনে যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে–সেখানেই বেশি এমন হামলার ঝুঁকি।
মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা তথ্য বিষয়ক কমিটির এ সদস্য বলেন, 'ন্যাটোভুক্ত কোনো অঞ্চলে রাশিয়ার হামলাকেই আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছি। যেমন পোল্যান্ড বা অন্য কোনো (অস্ত্র) সরবরাহ পয়েন্টে আসতে পারে এ আঘাত'।
রুবিও'র বক্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব-সহকারে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিকে ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাখে বাইডেন প্রশাসন।
এমন হামলার ফলে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিক্তিয়া জানাতে বাধ্য হবে ন্যাটো। কারণ ন্যাটোর সনদ অনুযায়ী, যেকোনো এক সদস্য দেশের ওপর আঘাত আসলে– জোটের সবাই মিলে পাল্টা আঘাত হানতে হবে শত্রুর ওপর। কিন্তু, প্রশ্ন হলো– কতটুকু শক্তি দিয়ে পাল্টা আঘাত হানা হবে? প্রচলিত নাকি পারমাণবিক অস্ত্র হবে সেই পন্থা? হামলা কী রুশ শহর ও জনপদে করা হবে নাকি লক্ষ্যবস্তু হবে রুশ সামরিক স্থাপনাগুলি?
বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেননি রুবিও। কিন্তু, তিনি বলেছেন, 'ন্যাটোকে অবশ্যই পাল্টা পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই আঘাতের ধরন এবং তা কতোটা ব্যাপক হবে–তার ওপরই অনেককিছু (হয়তো তৃতীয় মহাসমরও) নির্ভর করছে'।
প্রতিক্রিয়া যাই হোক, এরমধ্যেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করলেও সংঘাতকে উস্কে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন পুতিন। এরমধ্যে একটি পদক্ষেপ হলো–নর্ড স্ট্রিম ১ ও ২ পাইপলাইনে 'স্যাবোটাজ'। অভিযোগটি অবশ্য পশ্চিমা বিশ্বের। কিন্তু, এই আঘাত এমন সময়ে এলো– যখন দুর্বল অবস্থানে ধুঁকছে ইউরোপের অর্থনীতি।
রাশিয়ার গ্যাস খাতের জায়ান্ট গ্যাজপ্রমের সাথে বেশ কয়েকটি জার্মান কোম্পানির যৌথ উদ্যোগ– এ দুটি পাইপলাইন। এতে নাশকতা করে রাশিয়া থেকে ইউরোপ গ্যাস সঞ্চালন বন্ধ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, পশ্চিমা বিশ্বের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির ইচ্ছে ও সক্ষমতা পুরোদমেই আছে মস্কোর, এমনকী তার জন্য মূল্য দিতেও রাজি ক্রেমলিন।
সাবেক সোভিয়তে নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ এর কন্যা ও বর্তমানে নিউইয়র্কের দ্য নিউ স্কুলের অধ্যাপিকা– নিনা ক্রুশ্চেভা বলেন, 'আমি মনে করি, আমরা যেকোনো সমঝোতার পথ পেছনে ফেলে এসেছি'। অর্থাৎ, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সময় ও সুযোগ হেলায় নষ্ট হয়েছে এমন ইঙ্গিতই দেন।
যুদ্ধে আরও উস্কানি দেওয়ার আরেকটি নগ্ন পদক্ষেপ ছিল– রুশ অধিকৃত অঞ্চলে একটি বেসামরিক কার কনভয়ে রকেট হামলা। এতে নিহত হয় ১৩ শিশু, একজন গর্ভবতী নারীসহ ২৪ জন।
বুচাসহ ইউক্রেনের অন্যান্য কিছু স্থানে বেসামরিক নাগরিকদের বর্বর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। কার কনভয়ে হামলার ঘটনাও তারই ধারাবাহিকতা। রাশিয়া তার নির্মমতার শক্তিকেই এসব হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। ভাঙ্গতে চাইছে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের মনোবল।
এরমধ্যেই বুচার ঘটনায়– 'নির্বিচারে হত্যা, গুম এবং নির্যাতনের বিপুল প্রমাণ' পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি এসব অপরাধকে 'যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ' বলে অভিহিত করেছে'।
কিয়েভ এসব যুদ্ধাপরাধের তদন্ত ও বিচার চায়। পশ্চিমারাও সেখানে সমর্থন দিচ্ছে। নৈতিকতার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রও করেছে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবি। অথচ, রাশিয়া যেকোনো গণহত্যাকে অস্বীকার করে এবং করবেও। আর বিচারের যেকোনো চেষ্টাই হবে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।
কানাডার সরকারি টিভি চ্যানেল সিবিসি'কে নিনা ক্রুশ্চেভা বলেন, 'আমি মনে করি আমরা এখন সংঘাতের নতুন স্তরে উপনীত হয়েছি। সব পক্ষই এখানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং কোনো প্রকার ছাড় দেওয়াকেই দুর্বলতা বলে মনে করছে। আমি মনে করি, আমরা খুব বিপজ্জনক মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছি'।
এদিকে সেনা রিজার্ভের একাংশকে তলব করেছেন পুতিন। এর মাধ্যমে তিন লাখ নতুন জনশক্তি পাঠানো হবে ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলে। ফলে রণাঙ্গনের যেসব ফ্রন্টে রুশ বাহিনীর অবস্থান দুর্বল– সেখানে নতুন শক্তি সঞ্চার করা যাবে বলে জানিয়েছেন ন্যাটোর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এর আগে দক্ষিণে ইউক্রেনীয় আক্রমণ আসার অনুমান করে রাশিয়া। এজন্য উত্তরের ফ্রন্ট থেকে সেখানে বাড়তি সেনা ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়। ফলে উত্তরপূর্বের অনেক জায়গায় প্রতিরোধ শক্তি হ্রাস পায় রুশ বাহিনীর। ইউক্রেন এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই উত্তরপূর্বে চালানো ঝটিকা অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে।
পরিস্থিতি স্বীকার করে রুশ সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, শত্রুর 'শক্তিশালী ট্যাংক ইউনিটের' কারণেই সেখানে অবস্থার অবনতি হয়েছে।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী এখন উত্তরের লিম্যান শহরকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। গেল সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক পরিবহন হাব তাদের দখলে আসে। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য এ অঞ্চলের আরেকটি বড় শহর- বোরোভা।
লিম্যান থেকে তড়িঘড়ি করে পিছু হঠতে হয়েছে রুশ সেনাদের। তার প্রমাণ দিয়েছে, নিহত সঙ্গীদের মৃতদেহ ফেলে গিয়ে। শহর থেকে বাইরে যাওয়ার পথে মিলেছে ১৮ রুশ সেনার লাশ।
দক্ষিণের খেরসন নগরী রক্ষা ক্রেমলিনের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বের। কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী এ শহর হাতছাড়া হলে যুদ্ধ নিয়ে রুশ জনগণের কাছেই মুখরক্ষা হবে না পুতিনের। রিজার্ভ সেনা সংগ্রহের চেষ্টাও ব্যাহত হবে। ফলে পুরো যুদ্ধের ফলাফল উল্টে যেতে পারতো খেরসন অরক্ষিত থাকলে।
নিপার নদীর পশ্চিম তীরে উর্বর কৃষি জমি সমৃদ্ধ এ অঞ্চল– গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর পরই রাশিয়ার অধিকারে আসা প্রথম বৃহৎ কোনো ইউক্রেনীয় শহর।
এখানে রাশিয়ার প্রতিরোধ এখনও প্রবল। ফলে গত কয়েক সপ্তাহ চেষ্টা পর নিপার নদীর পূর্বদিকে রুশ সেনাদের কিছুটা হঠিয়ে দিতে পেরেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা।
তবে রাইবার নামক একজন রুশ সামরিক ব্লগার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, 'নিপার নদীর পশ্চিম তীর শত্রুর হাতে যাওয়ার 'তাৎক্ষণিক হুমকির' মধ্যে রয়েছে'।
রুশ গণমাধ্যম– কোমসমোলস্কায়া প্রাভদা সংবাদপত্রের সামরিক প্রতিবেদক আলেক্সান্ডার কোটসের টেলিগ্রামে রয়েছে ৬ লাখ সাবস্ক্রাইবার। যাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, 'খেরসন থেকে নিকট ভবিষ্যতে কোনো ভালো সংবাদ পাওয়ার আশা নেই। রণাঙ্গনের অনেক সেক্টরে দীর্ঘ আক্রমণ অভিযানে অংশ নিয়েছে আমাদের সেনারা, এই সুযোগে মুক্ত করেছে অনেক অঞ্চল। কিন্তু, এরপর সেনাদের মধ্যে ক্লান্তি নেমে এসেছে, এই বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার শক্তি আর তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই'।
রাশিয়ায় গণমাধ্যম কঠোরভাবে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত হলেও, গত মঙ্গলবার যুদ্ধ নিয়ে সমালোচনা করেছে ইজভেতসিয়া নামক একটি প্রথম সাড়ির দৈনিক। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, 'বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য শুধু অপর্যাপ্ত জনবলকেই দায়ী করা যায়। রুশ সামরিক বাহিনীর সামনে এই মুহূর্তে পিছিয়ে আসা ছাড়া ভিন্ন কোনো উপায় নেই'।
কোমসমোলস্কায়া প্রাভদা পরামর্শ দিয়েছে, 'রিজার্ভ ইউনিটগুলি প্রস্তুত হওয়ার আগে আমাদের আরও কয়েক মাস সেনা অবস্থান ধরে রাখতে হবে। রিজার্ভ সেনারা যখন নিয়মিত বাহিনীর অংশ হয়ে উঠবে এবং যুদ্ধ যোগ দিবে তখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে'।
সহজ কথায় বলা যায়, রাশিয়া বর্তমানে তার দখলকৃত এলাকা যেন আরও সংকুচিত না হয়– সেটি নিয়েই চিন্তিত। তাই যাচ্ছে রক্ষণাত্মক কৌশলে।
আর তারই ফাঁকে– কোণঠাসা বেড়ালও হয় বিপজ্জনক, আর রুশ ভালুকের তো পারমাণবিক থাবাও আছে– সেকথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পুতিন।
- সূত্র: এশিয়া টাইমস