পুতিনের ওপর ইউক্রেনের ড্রোন হামলাচেষ্টার অভিযোগ ক্রেমলিনের
মঙ্গলবার (২ মে) দিবাগত রাতে ক্রেমলিন ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালাতে যাওয়া দুটি ড্রোনকে ভূপাতিত করার দাবি করেছে রাশিয়া। এ হামলাকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করার ইউক্রেনীয় চেষ্টা হিসেবে অভিযোগ করেছে দেশটি। খবর বিবিসি'র।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়ান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ব্যবহার করে ওই ড্রোন দুটিকে অকেজো করে দেয়।
ঘটনার সময় পুতিন ক্রেমলিনে ছিলেন না। তার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ হামলাচেষ্টায় ক্রেমলিন ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি।
তবে রাশিয়ার এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেন বলেছে, ড্রোন হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার (৩ মে) সকালের দিকে মস্কোর কেন্দ্র থেকে ধোঁয়া ওড়ার বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। তবে এসব ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, 'গত রাতে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল ব্যবহার করে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের ক্রেমলিন বাসভবনে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে কিয়েভ রেজিম।'
ক্রেমলিন এ ঘটনাকে 'পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা' হিসেবে দেখছে।
'রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময়ে ও যেকোনো স্থানে এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রাখে' বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন।
পুতিনের দৈনন্দিন কার্যক্রম আগের মতোই থাকবে বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, দু্টি ড্রোনই ক্রেমলিনের ভূমিতে পতিত হয়।
এ ঘটনা '৯ মে ভিক্টরি ডে ও প্যারেডে বিদেশি অতিথিদের আগমনের আগে' ঘটার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে।
ভ্লাদিমির পুতিন বর্তমানে মস্কো রিজিয়নের নভো-ওগারিয়োভো রাষ্ট্রীয় বাসভবনে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে আরটি।
ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল মস্কো
এদিকে ড্রোন হামলার অভিযোগের পর অনুমোদন ছাড়া ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে মস্কো। আরটি'র খবর অনুযায়ী, রুশ রাজধানীর মেয়র সার্গেই সবিয়ানিন বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ড্রোনের অনুমোদনহীন ব্যবহারের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে টেলিগ্রাম-এ এক পোস্টে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মেয়র সার্গেই।