সাঁজোয়া ট্রেনে চড়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন?
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে ভ্লাদিভস্তকের দিকে যাত্রা শুরু করেছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
বিদেশ সফরে একটি সাঁজোয়া ট্রেন ব্যবহার করেন কিম। সেটিই পিয়ংইয়ং ছেড়ে গেছে বলে সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলো।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি হতে পারে।
এর আগে ক্রেমলিন জানিয়েছিল, 'আগামী দিনগুলোতে' কিম জং উন রাশিয়া সফর করবেন।
যদি পুতিন ও কিমের মধ্যকার বৈঠক হয়, তাহলে এটি হবে চার বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।
ইউক্রেনযুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে আলাপ হতে পারে — এর আগে এমন ধারণার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
২০১৯ সালে সর্বশেষ কোনো আন্তর্জাতিক সফরে ভ্লাদিভস্তক সফর করেছিলেন কিম জং উন। তখনো ট্রেনে করেই গিয়েছিলেন তিনি।
গুঞ্জন রয়েছে, ট্রেনটিতে কমপক্ষে ২০টি বুলেটপ্রতিরোধী গাড়ি রয়েছে। ফলে সাধারণ ট্রেনের চেয়ে ভারী হওয়ায় ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার। তাই ভ্লাদিভস্তক পৌঁছাতে কিম জং উনের একদিন সময় লাগতে পারে।
এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য অস্ত্র আলোচনা 'সক্রিয়ভাবে এগোচ্ছে' বলে এটির কাছে তথ্য রয়েছে। এরপরই সম্ভাব্য এ বৈঠকের খবর জানা গেল।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ায় সম্প্রতি এক সফরের সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু রাশিয়ার কাছে 'আর্টিলারি গোলা বিক্রির জন্য পিয়ংইয়ংকে রাজি করাতে' চেষ্টা করেছিলেন।
কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর অঙ্কিত পাণ্ডা বলেন, 'দুই পক্ষই উপযুক্ত দামের বিষয়ে একমত হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে।'
তিনি ধারণা করেন, রাশিয়া সম্ভবত খাদ্য ও কাঁচামালের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়ার কাছে আর্টিলারি গোলা ও রকেট শেলসহ কনভেনশনাল অস্ত্র এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন চাইবে।