পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রাশিয়াসহ ৩৩ দেশকে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা দিল ইরান
সৌদি আরব, আরব আমিরাত, রাশিয়া ও কাতারসহ মোট ৩৩ টি দেশের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা ঘোষণা করেছে ইরান। এতদিন ধরে এই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকটি দেশের সাথেই তেহরানের শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছিল; যা সম্প্রতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি গতকাল (বৃহস্পতিবার) তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, "পর্যটন মন্ত্রণালয় মনে করে যে, ওপেন ডোর পলিসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য ইরানের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবে।"
ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইরানে ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার জন ভ্রমণ করেছে। যদিও এই পরিসংখ্যানে আফগানিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশের নাগরিকরা পর্যটন ছাড়াও অন্য কারণে দেশটিতে ভ্রমণ করেছে।
পরবর্তীতে ইরানে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধার আওতায় আরও ১২ টি দেশকে যুক্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে কোনো ভিসা ছাড়াই ইরান ভ্রমণ করতে পারবে ঐসব দেশের নাগরিকেরা।
এমন পদক্ষেপ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যেকার সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই তেল উৎপাদনকারী উপসাগরীয় দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনে চলছে।
রিয়াদ ও তেহরান গত এক দশকে সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনের যুদ্ধে পরোক্ষভাবে পরস্পর বিপরীতধর্মী অবস্থান নিয়েছে। এমনকি সৌদি আরবের তেলের অবকাঠামোর উপর হামলার পেছনে ইরানকেও দায়ী করা হয়েছিল। যদিও ইরান ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
২০১৬ সালে ইরান ও সৌদি নিজেদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করেছিল। তবে চলতি বছরের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির অধীনে সেটি আবার শুরু হয়েছে।
এছাড়াও ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে এশিয়ার ১৭ টি, আফ্রিকার ছয়টি, ইউরোপের পাঁচটি ও ল্যাটিন আমেরিকার পাঁচটি দেশ রয়েছে। বাহরাইন, লেবানন, ভারত ছাড়াও ন্যাটোভুক্ত দেশ হয়েও জায়গা পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
অন্যদিকে ইরানি মুসল্লিরা আট বছর পর প্রথমবারের মতো প্রতিনিয়ত সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ পাবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে এটি চালু হবে বলে গত বুধবার ইরানি গণমাধ্যমগুলোতে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।