টাইটানিকের সবচেয়ে ধনী যাত্রীর সোনার ঘড়ি বিক্রি হলো রেকর্ড ১৫ লাখ ডলারে
রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে টাইটানিকের সবচেয়ে ধনী যাত্রীর পরিহিত একটি সোনার পকেট ঘড়ি। গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারে ঘড়িটি নিলামে তোলা হলে ১৫ লাখ ডলারে ঘড়িটি বিক্রি হয় যা চাওয়া দামের চেয়ে ছয়গুণ বেশি।
নিলাম শুরুর আগে ঘড়িটি দেড় লাখ পাউন্ডে বিক্রি হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। কর এবং ফি সহ, ঘড়িটির মোট মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১ মিলিয়ন পাউন্ডে (১.১৭৫ মিলিয়ন), যা টাইটানিকের একক আইটেমের জন্য সর্বোচ্চ মূল্যের বিশ্ব রেকর্ড।
এর আগে ২০১৩ সালে টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সময় ব্যান্ডের বাজানো বেহালাটি কর এবং ফি সহ ১.১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল।
ঘড়িটির মালিক ছিলেন মার্কিন ধনকুবের জন জ্যাকব অ্যাস্টর। ১৯১২ সালে যখন টাইটানিক জাহাজ ডুবে যায়, তখন বহু যাত্রীর সঙ্গে তিনিও প্রাণ হারান। ওই সময় অ্যাস্টর ছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী। অ্যাস্টর মারা গেলেও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মেডেলিন বেঁচে যান। ঘড়িটি তার কাছেই ছিল।
শনিবার ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারের হেনরি অলড্রিজ অ্যান্ড সনের নিলামে ঘড়ি ছাড়াও টাইটানিকের নির্ধারিত ভ্রমণের নথিভুক্ত একটি পকেটবুক এবং বেহালার ভ্যালিস বিক্রি হয়েছে।
অ্যালড্রিজ সিএনএনকে বলেন, 'ইতিহাসের এই অনন্য পণ্যগুলোর জন্য এই দাম কেবল তাদের গুরুত্বকেই প্রতিফলিত করে না বরং টাইটানিকের গল্পের প্রতি চলমান আগ্রহ এবং তার যাত্রী এবং ক্রুদের স্মৃতিকেও প্রতিফলিত করে।'
নিলাম সংস্থা জানিয়েছে, টাইটানিক ডুবে যাওয়ার পর অ্যাস্টরের দেহের সঙ্গে পাওয়া ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মধ্যে এই ঘড়িটিও ছিল। তার কাছে সোনার কাফলিংক, একটি হীরার আংটি, টাকা-পয়সা ও একটি পকেটবুকসহ অন্যান্য জিনিস ছিল।
উদ্ধারের পর ঘড়িটি অ্যাস্টরের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি মেরামত করে ব্যবহার করতেন অ্যাস্টরের ছেলে।
১৯৩৫ সালে চতুর্থ উইলিয়াম ডবিনের শিশুপুত্র ভিনসেন্টকে এই ঘড়িটি উপহার দেওয়া হয়। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে নিলামে ওঠার আগ পর্যন্ত এটি ডবিন পরিবারের কাছে ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন অজ্ঞাতনামা সংগ্রাহক সে সময় ঘড়িটি কিনেছিলেন। তারপর থেকে এটি বিভিন্ন জাদুঘরে প্রদর্শিত হয়েছে।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন