ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইরানের এক নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। তবে সে অভিযোগ নাকচ করেছে ইরান। ইরানের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলোকে 'মিথ্যা প্রচারণা' হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অভিযোগ করেছে যে, ইরানি কর্মকর্তারা ফরহাদ শাকেরি নামের এক ব্যক্তিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সাথে তাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। শাকেরিকে আফগান নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি বর্তমানে তেহরানে বসবাস করছেন। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের কারাদণ্ড শেষে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
তবে শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ী এই অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'এ ধরনের দাবি আসলে একটি ষড়যন্ত্র যা ইসরায়েলপন্থী এবং ইরানবিরোধী মহল দ্বারা পরিচালিত, যার উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জটিল করা'।
বাঘায়ী আরও জানান, অতীতেও ইরান একই ধরনের 'ভিত্তিহীন' অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে তিনি ইঙ্গিত করেন, গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এক পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল যে ইরানের আদেশে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল। ওই হামলার লক্ষ্য ছিল ট্রাম্প।
এছাড়াও, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প দু'বার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যেখানে একটি গুলি ট্রাম্পের কানে স্পর্শ করে। ঘটনাস্থলেই তাকে গুলি করে হত্যা করে সিক্রেট সার্ভিস।
এরপর সেপ্টেম্বর মাসে আরেকটি ঘটনা ঘটে, যেখানে রায়ান ওয়েসলি রাউথ নামের এক ব্যক্তি ট্রাম্পের ফ্লোরিডা গলফ কোর্সে হত্যাচেষ্টা করে; তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ধরে ফেলে।