সন্তানের নামকরণ নিয়ে বিবাদ মিটল ভারতের আদালতে, বিবাহ বিচ্ছেদ থেকেও ফিরল দম্পতি
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের এক দম্পতির সন্তানের নামকরণ নিয়ে তিন বছরের বিবাদ শেষমেশ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এই বিষয় নিয়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপে বিবাদের সমাধান হয়েছে।
২০২১ সালে ছেলে সন্তানের জন্মের পর ওই নারী নিজের বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। তখন তার স্বামী ছেলের একটি নাম দিতে চান। কিন্তু স্ত্রী তা মানতে অস্বীকার করেন।
স্ত্রী নিজের এবং স্বামীর নামের অংশ মিলিয়ে সন্তানের জন্য "আদি" নামটি ঠিক করেন। স্বামী এতে ক্ষুব্ধ হন এবং সন্তান ও স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে ফেরত আনতে যাননি।
পরবর্তীতে ওই নারী তিন বছর ধরে সন্তানের নামকরণ নিয়ে চলা বিবাদের মধ্যেই স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে কর্ণাটকের মাইসুরু জেলার হুনসুর শহরের স্থানীয় আদালতে যান।
তার আইনজীবী এমআর হরিশ জানান, এই বিবাদ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, ওই নারী বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন।
হরিশ বলেন, "তিনি একজন গৃহিণী হওয়ায় ভরণপোষণের টাকাও দাবি করেছিলেন।"
মামলাটি প্রথমে স্থানীয় আদালতে দায়ের করা হয়। পরে এটি ভারতের লোক আদালতে স্থানান্তরিত হয়। লোক আদালত এমন বিরোধ মীমাংসায় সাহায্য করে।
বিচারকদের একাধিক প্রস্তাবের পর, দম্পতি আদালতের দেওয়া নাম "আর্যবর্ধন" মেনে নেন। এই নামের অর্থ "উচ্চবংশীয়"।
পরে দম্পতি মালা বদল করেন, যেটি ভারতের ঐতিহ্যে গ্রহণযোগ্যতার প্রতীক। তারা বিয়ে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এটি প্রথম নয় যে ভারতের কোনো আদালত সন্তানের নামকরণে হস্তক্ষেপ করল। গত বছর কেরালার এক শিশুকে স্কুলে ভর্তির সময় জন্মনিবন্ধনে কোনো নাম না থাকায় সেটি নিয়েও জটিলতা হয়েছিল।
শিশুর মা আদালতে যান এবং জানান, বাবার অনুপস্থিতিতে তিনি নাম নিবন্ধন করাতে পারেননি। আদালত মায়ের প্রস্তাবিত নাম গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয় এবং বাবার নাম যুক্ত করতে বলে।