'কেমন হয় যদি আমরা আলাস্কা কিনে নিই'— ট্রাম্পকে পালটা প্রস্তাব কানাডার
সোমবার (৬ জানুয়ারি) কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে বানানোর ইচ্ছা পোষণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ প্রস্তাবের জবাবে অ্যালাস্কা ও মিনেসোটা কেনার পালটা প্রস্তাব দিয়েছেন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফোর্ড বলেন, 'কানাডা বিশ্বের সেরা দেশ, এবং এটি কখনোই ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণে যাবে না।'
মজার ছলে ফোর্ড বলেন, 'ট্রাম্পকে আমি পাল্টা প্রস্তাব দেব। কী বলবেন, আমরা যদি অ্যালাস্কা কিনে নিই, সঙ্গে মিনেসোটা ও তার প্রধান শহর মিনিয়াপলিসও যোগ করি? আপনারা জানেন, এটা মোটেও বাস্তবসম্মত নয়'।
ফোর্ড জানান, তিনি জানেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এ ধরনের মন্তব্য করতে এবং মজার ছলে প্রস্তাব দিতে পছন্দ করেন।
তিনি বলেন, 'আমি এটা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। তিনি হয়তো মজা করছেন, তবে আমার দায়িত্বকালে এমন কিছু কখনোই ঘটবে না'।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সোমবার এক পোস্টে বলেন, 'কানাডার অনেক মানুষ আমাদের ৫১তম রাজ্যের অংশ হতে পছন্দ করে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকির চাপ যুক্তরাষ্ট্র ভোগ করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন এবং তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।'
তিনি আরও বলেন 'যদি কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তাহলে সেখানে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে এবং তারা রাশিয়ান ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকবে। এক সঙ্গে, এটা একটি মহান জাতি হবে!!!'
ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ট্রুডো এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, 'কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে, এমনটা কখনও হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দুই দেশের শ্রমিকরা ও সম্প্রদায়গুলো একে অপরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক এবং নিরাপত্তা অংশীদার হওয়া থেকে উপকৃত হয়।'
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং বিদেশি প্রতিযোগীদের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাকে তার প্রধান কর্মসূচি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি কানাডা থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এর পরেই ডিসেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যান এবং ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেই সময়েও ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেছিলেন যে কানাডা যেন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়।