হিজাব বিরোধী আন্দোলন, ইরানে ৩১ জনের মৃত্যু
মোরাল পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর জের ধরে দেশটিতে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইরান হিউম্যান রাইটস ডিরেক্টর মেহমুদ আমিরি মোঘাদ্দম জানিয়েছেন, মৌলিক অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের জন্য রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন ইরানের মানুষ। আর সরকার সেই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুলি চালিয়েছে।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, ইরানের অন্তত ৩০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণহারে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার।
ইরান হিউম্যান রাইটসের দাবি, কুরদিস্তানে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানেই আমিনির বাড়ি। এরপরই বিক্ষোভ পুরো দেশে ছড়াতে থাকে। এখন পর্যন্ত আমোল শহরে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বাবোল শহরে মারা গিয়েছেন ৬ জন।
কুর্দিস্তান রাইটস গ্রুপের দাবি, কুরদিস্তানে প্রদেশেও ১৫জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সপ্তাহে মাহসা আমিনিকে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে ইরানের নৈতিকতা রক্ষা বিষয়ক পুলিশ। আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি অচেতন হয়ে যান। তিনদিন কোমায় থাকার পর গত শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ইরানে হিজাব বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেন, অভিযোগ রয়েছে, আটকের পর মাহসা আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছিল পুলিশ এবং গাড়ির বিপরীতে তার মাথায় আঘাতও করা হয়েছিল।
তবে, ওই তরুণীর ওপর এসব নির্যাতনের সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, মাহসা আমিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
অন্যদিকে তরুণীর পরিবারের দাবি, তিনি পুরোপুরি সুস্থ এবং সবল ছিলেন। আগে কখনোই হৃদরোগ ছিল না তার।