নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, সাবেক কোচিং শিক্ষক গ্রেপ্তার
নোয়াখালী পৌরসভায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার সাবেক কোচিং শিক্ষকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আবদুর রহমান রনিকে (২৮)। প্রাথমিক আলামতে রনির শরীর থেকে ভিকটিম কর্তৃক নখের কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) ও আবদুর রহিম রনিকে গ্রেপ্তার করে।
রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে নখের আঁচড় রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শহীদুল ইসলাম আরও জানান, রনির কোচিং থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট শুরু করে অদিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয় রনি, যদিও পরে অদিতাদের বাসায় বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করতো সে।
অদিতার মা ঘরে না থাকার সুযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টার মধ্যে কোন একসময় বাসায় গিয়ে অদিতাকে ধর্ষণ করে সে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে হাত ও গলা কেটে অদিতাকে হত্যা করে এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরে আলমেরিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অদিতার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল।