শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কৃত ক্যামেরুনের গোলরক্ষক
বিশ্বকাপ চলাকালীনই দলের এক নম্বর গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানাকে বিদায় করে দিয়েছেন ক্যামেরুনের কোচ। কোচের কৌশল পছন্দ না হওয়ায় তার নির্দেশ মতো খেলতে চাননি আন্দ্রে ওনানা। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে প্রথমে তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেন কোচ রিগোবার্ট সং। কিন্তু সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে খবর, ইতোমধ্যেই টিমের হোটেল ত্যাগ করেছেন ওনানা এবং দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
ক্যামেরুন দল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালেই দলের হোটেল ছেড়ে বিমানবন্দরে চলে যান ওনানা। দোহা থেকে তিনি প্যারিসের বিমান ধরেছেন। সেখান থেকে ফিরবেন ক্যামেরুনে। দলের হোটেল ছাড়ার আগে ওনানা টুইটে লিখেছেন, ''সমস্যা সমাধানের জন্য সব রকম চেষ্টা করেছি। নিজের সব অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অপর পক্ষের কোনো আন্তরিকতা দেখিনি। আমি সবসময় দল এবং দেশের সাফল্যের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি এবং সম্মান করি।''
তবে ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছেন না। বিশ্বকাপের মধ্যে কোচের অবাধ্য হয়ে সমস্যা তৈরি করায় ওনানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেন তারা। ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থার প্রধান তথা প্রাক্তন ফুটবলার স্যামুয়েল এটো এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ।
ম্যাচের মধ্যে ওনানাকে প্রায়ই দেখা যায় গোল থেকে অনেকটা এগিয়ে এসে সতীর্থদের পাস দিতে। তাতে বিপদে পড়তে পারে দল। তাই রিগোবার্ট সেভাবে খেলতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু ওনানা তা শুনতে চাননি। ম্যাচের আগেই ড্রেসিং রুমে এ বিয়ে কোচের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। এরপর ক্ষুব্ধ ক্যামেরুন কোচ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে তাকে খেলাননি। সোমবারের ম্যাচে ইন্টার মিলানের গোলরক্ষকের বদলে রিগোবার্ট খেলান দ্বিতীয় গোলরক্ষক ডেভিস এপাসিকে। ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।
বিশ্বকাপের মাঝে এই বিতর্কে ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থার সভাপতি এতো দাঁড়িয়েছেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ কোচ রিগোবার্টের পক্ষে। তাতে ওনানার সমস্যা আরও বেড়েছে। হতাশ ওনানা বলেছেন, ''আমি সব সময় চেষ্টা করি দলের সাফল্যে সহযোগিতা করতে। মাঠে সতীর্থদের সাহায্য করতে নিষেধ করলে, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন।'' উল্লেখ্য, ২৬ বছর বয়সী আন্দ্রে ওনানা দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন।