কাউছ মিয়াসহ ৫ জন সেরা প্রবীণ করদাতা হলেন
জর্দা টাইকুন এবং হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী কাউছ মিয়া এবং আরও চারজন এ বছর সেরা প্রবীণ করাদাতা হয়েছেন।
২০২১-২২ করবর্ষে 'সিনিয়র সিটিজেন' ক্যাটাগরিতে তিনি সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে অবশ্য তিনি ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা হয়ে আসছিলেন।
কাউছ মিয়া গত বছরও সর্বোচ্চ করদাতা হয়েছিলেন। গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সম্মাননা প্রদান করে।
কাউস মিয়া ৬১ বছর ধরে কর দিচ্ছেন। ১৯৫৮ সালে তিনি প্রথম কর দেন।
কেন কর দিতে শুরু করেছিলেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেছিলেন কাউছ মিয়া। ২০১৯ সালে এনবিআরের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আগে আমি টাকাপয়সা এখানে-সেখানে রাখতাম। এতে নানা ঝামেলা ও ঝুঁকি থাকত। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দিয়ে "ফ্রি" হয়ে গেলাম। এরপর সব টাকাপয়সা ব্যাংকে রাখতে শুরু করলাম। হিসাব-নিকাশ পরিষ্কার করে রাখলাম।'
এর আগে ১৯৬৭ সালে কাউছ মিয়া তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নম্বর করদাতা হয়েছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতাদের একজন।
কাউছ মিয়া ছাড়াও গত ২০২১-২২ করবর্ষের জন্য সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে আরও চারজন শীর্ষ করদাতাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন—ঢাকার কর অঞ্চল-৮-এর করদাতা খাজা তাজমহল, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের করদাতা এম সাহাবুদ্দিন আহমেদ, কর অঞ্চল-৩ এর করদাতা সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান এবং কর অঞ্চল-৩-এর করদাতা প্রকৌশলী খন্দকার বদরুল হাসান।
জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা ২০১০ (সংশোধিত) অনুযায়ী, ২০২১-২৩ করবর্ষের জন্য এনবিআর ৫ জন প্রবীণ নাগরিকসহ সেরা করদাতা ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ-সংক্রান্ত সরকারি গেজেটও প্রকাশিত হয়েছে। সেখান থেকেই এ তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআর সেরা করদাতাদের আনুষ্ঠানিক সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড দেবে।
২০১৬ সাল থেকে এনবিআর সেরা করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা দিচ্ছে।