চট্টগ্রামের ২৪ ঘন্টার করোনা রিপোর্ট আসেনা ১২০ ঘন্টায়ও!
চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) করোনার সংক্রমণের রিপোর্ট নমুনা সংগ্রহ থেকে সাধারণত ২৪ ঘন্টায় দেয়ার কথা। কিন্তু ১২০ ঘন্টা পেরোলেও সেই রিপোর্ট পাননি বলে জানিয়েছেন এক নারী সংবাদকর্মী।
জনবল সংকট ও বিদুৎ বিভ্রাটের কারণে নমুনা জট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল থেকে জ্বর-সর্দিতে ভুগছিলেন চট্টগ্রামের একজন নারী সংবাদকর্মী। করোনা সন্দেহ করে তিনি বিআইটিআইডি নমুনা পরীক্ষার জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেখান থেকে সাড়া না পেয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করেন তিনি। একপর্যায়ে যোগাযোগের দুইদিন পর গত ১৭ এপ্রিল বিআইটিআইডির একটি টিম ওই সংবাদকর্মীর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। ২৪ ঘন্টা পর রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে সেদিন অসুস্থ সংবাদকর্মীকে জানায় বিআইটিআইডির ওই টিম।
পাঁচদিন পর মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নমুনার ফলাফল জানতে পারেননি ওই সংবাদকর্মী।
হতাশ হয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ কর্মী ওই নারী জানান, অনেক চেষ্টা তদবির করে করোনা সন্দেহে বিআইটিআইডিতে পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু তার ফলাফল আসতে আসতে মানুষ তো মারা যেতে পারে। নমুনা সংগ্রহের পাঁচদিনেও ফলাফল জানতে পারিনি। আমি নমুনার রিপোর্ট পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি।
তিনি আরো জানান, জ্বর, সর্দি-কাশির জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেছি। এখন ৯০ শতাংশ সুস্থ আমি। রেজাল্ট নেগেটিভ বা পজিটিভ যা-ই আসুক আর চিন্তা নেই। সেই সাথে তিনি পরামর্শ দিয়ে জানান, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে রিপোর্টের আশায় বসে না থেকে, নিজ থেকে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকুন। ঘরে বসে ফোনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যান।
বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী জানান, এখানে একটি মেশিনে ১০টি জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা ফলাফল দিতে পারছি না। জনবল নয় পর্যাপ্ত মেশিন থাকলে আমরাও দ্রুত ফলাফল দিতে পারতাম। এখন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করে দৈনিক ১০০ এর বেশি ফলাফল দিচ্ছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, নারী সাংবাদিকের নমুনার ফলাফল আজ দেওয়া হবে। এদিকে আবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে নমুনা পরীক্ষা শুরু হলে এই সঙ্কট আর থাকবে না।