কী আছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধাবসানে চীনের দেওয়া শান্তি প্রস্তাবে?
রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর পর ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন। এবারের মস্কো সফরে ১২-দফা শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
এ প্রস্তাবের মাধ্যমে রাশিয়ার আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে চীন।
ইউক্রেন-রাশিয়াতে যুদ্ধাবস্থা 'আরো অবনতি কিংবা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া'র আগেই 'উত্তেজনা বাড়ানো থেকে বিরত থাকতে' সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে 'সংঘাত এবং যুদ্ধ কারও উপকারে আসে না' উল্লেখ করে চীন বলে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই 'যৌক্তিক থাকতে হবে'।
তবে যুদ্ধাবসানের আহ্বান জানালেও, এখন পর্যন্ত নিজেদের মিত্র রাশিয়ার নিন্দা করেনি চীন। এমনকি এ যুদ্ধকে 'আক্রমণ' হিসেবেও দেখছেনা দেশটি। তাছাড়া, এতদিন ধরে মস্কোর উপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞারও সমালোচনা করেছে চীন।
চীনের ১২-দফা শান্তি প্রস্তাব:
- সকল দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা
- স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পরিত্যাগ করা
- শত্রুতা বন্ধ করা
- শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করা
- মানবিক সংকটের সমাধান
- বেসামরিক নাগরিক এবং যুদ্ধবন্দীদের সুরক্ষা দান
- পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিরাপদ রাখা
- কৌশলগত ঝুঁকি কমানো
- শস্য রপ্তানি সহজ করা
- একতরফা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করা
- শিল্প ও সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীল রাখা
- দ্বন্দ্ব-পরবর্তী পুনর্গঠনের প্রচার করা
রাশিয়া বেইজিংয়ের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, শান্তি পরিকল্পনার একটি 'সংক্ষিপ্ত অধ্যয়ন' করবে তারা। তবে এখনই শান্তিপূর্ণ সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখছে না বলেও জানিয়েছে দেশটি।
এদিকে চীন তার অবস্থান নিয়ে পরস্পরবিরোধী বিবৃতি দিয়েছে।
একদিকে তারা বলছে, ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের ফলে রাশিয়া এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে, এ যুদ্ধের বিষয়ে তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে বলেও দাবি চীনের।