নারায়ণগঞ্জে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় একজনের দুই রকম তথ্য
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ১২ বছর বয়সী এক শিশুর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নেগেটিভ বলে জানানোর পর একইদিন আবার করোনা পজেটিভ বলে জানানো হয়েছে।
অথচ ওই শিশুর পরিবারের অপর পাঁচ জনের পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। শিশুটির পরিবার জানিয়েছেন, তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই। নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ-আবার নেগেটিভ এই দুই ধরণের রিপোর্ট আসায় তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাইপিং মিসটেক থেকে দুই ধরনের রিপোর্ট হয়েছে। ওই শিশুকে আবারও পরীক্ষা করা হবে।
রোববার দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওই শিশুর পরিবারকে মুঠোফোনে দুই ধরণের রির্পোটের বিষয়টি জানানো হয়।
এ বিষয়ে শহরের চাষাঢ়া এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুর বাবা হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার তিনি ও তার ১২ বছর বয়সী ছেলে সাকিবসহ পরিবারের ছয়জন করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে নমুনা দেন। রোববার দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাকে মুঠোফোনে ফোন করে প্রথম জানানো হয় তার ছেলে করোনা নেগেটিভ এসেছে। পরে আবার ফোন করে জানানো হয় ছেলের করোনা পজেটিভ।
তিনি বলেন, পরিবারের পাঁচ জনের করোনা নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু সন্তানের করোনা পজেটিভ শোনার পর আমি মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছি। আতঙ্কে আছি। এতো ছোট ছেলে তার কোনো উপসর্গ নেই। সবাই নমুনা পরীক্ষার জন্য যাচ্ছে বলে তার ১২ বছর বয়সী ছেলেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো পরিবার টেনশনে আছি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে সোমবার আবার তার ছেলের নমুনা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে যেতে বলেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে জানালে তিনি ওই শিশুর করোনা পজেটিভ বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সামসুদ্দোহা সঞ্চয় বলেন, ওই শিশুর রিপোর্টে একটু ঝামেলা হয়েছে। তবে ল্যাবের ভাইরোলজিস্ট নিশ্চিত করেছেন ওই শিশুর করোনা পজেটিভ। রিপোর্ট প্রস্তুত করার সময় টাইপিং মিসটেক থেকে দুই ধরনের রিপোর্ট হয়েছে। ওই শিশুর পরিবারের পাঁচ জন করোনা নেগেটিভ। তাই ওই শিশুর সোমবার আবার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে।