মুশফিক যখন ‘হেড শেফ’
'একটা মেয়েও একটা ঘুছিয়ে থাকে না, ও যতোটা গুছিয়ে থাকে।' মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে তামিম ইকবাল এমনটা বলতেই কথা কেড়ে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মজার পরিমাণটা আরও বাড়িয়ে দেন তিনি। বলে ওঠেন, 'এ কারণেই ওর শাশুড়ি তার মেয়েকে বলেছিলো, মেয়ে বিয়ে করেছো। পছন্দ তো হবে।'
তামিম ইকবালের শেষ ফেসবুক লাইভ শোতে এভাবেই আড্ডায় মেতেছিলেন মাশরাফি, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। এদিন জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র এই চার ক্রিকেটার। নিজেদের মজার স্মৃতি নিয়ে লাইভেই রীতিমতো হই হুল্লোড় করেছেন তারা।
আড্ডার ফাঁকে রান্নার প্রসঙ্গ উঠে আসে। রান্নার প্রসঙ্গ উঠতেই মুশফিকের প্রশংসা শুরু হয়ে যায়। তামিমের ভাষায় বাংলাদেশ দলের হেড শেফ মুশফিক। আয়োজন করে ক্রিকেটাররা কিছু রান্না করলে সেখানে মূল রাঁধুনি থাকেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।
অবশ্য রান্নায় মুশফিকের চেয়েও এগিয়ে ইমরুল কায়েস। অন্যান্য সময়ের হেড শেফ থাকেন তিনিই। ইমরুল দলের বাইরে থাকায় মুশফিক পালন করছেন হেড শেফের কাজ।
নিজেদের রান্নার বিষয়ে জানাতে গিয়ে তামিম বলেন, 'একটা ব্যাপার আমরা সবাই উপভোগ করেছি সব সময়। আমাদের দলের একটা কালচার আছে, যখন আমরা দেশের বাইরে খেলতে যাই এবং যদি সুযোগ-সুবিধা পাই, তাহলে একদিন আমরা নিজেরা রান্না করি।'
'খিচুরি, ডিম, মুরগি এসব রান্না করি। পটু ভাই (সতীর্থদের দেওয়া ইমরুল কায়েসের ডাক নাম) আমাদের হেড শেফ এমনিতে। তবে এখন হেড শেফ মুশফিকুর রহিম। বিভিন্ন ধরনের খাওয়া রান্না করা হয়।'
তামিমের এমন কথা শুনে হো হো করে হেসে ওঠেন মুশফিক। তামিমকে ধন্যবাদ দিয়ে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'এক-দেড় মাসের সফরে একটা সময় আমাদের বিরক্তি পেয়ে বসে। বাইরের খাওয়া তো আর বাসার মতো হয় না। এটার একটা বড় কৃতিত্ব তোকে দিতে হয়। কারণ সবকিছুর উদ্যোক্তা লাগে। বাজার করা, কে কীভাবে করবে, রান্নাঘর ঠিক করা, সব তো তুই গুছিয়ে দিস।'
রান্না যে একাই করেন না, সেটাও খোলাসা করেছেন মুশফিক। স্ত্রীর পাঠানো তালিকা দেখে রান্না করেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আসলে খুব বেশি পারি না। আমার স্ত্রীর সাহায্য কাজে লাগে। ও হোয়াটস অ্যাপে সব লিস্ট পাঠায় আর বলে দেয় যে এটার পর ওটা দিতে হবে। ওভাবে করে যতটুকু পারি। সবশেষ আমরা মনে হয় করেছিলাম শ্রীলঙ্কায়।'