পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২,৫০০ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
রোববার (১২ নভেম্বর) নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা স্বাক্ষরিত এ গেজেট প্রকাশ করা হয়। মজুরি নিয়ে কারও কোনো সুপারিশ বা আপত্তি থাকলে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লাকে লিখিতভাবে জানানোর সুযোগ রয়েছে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে পাওয়া আপত্তি বা সুপারিশ বিবেচনা করে বোর্ড সরকারের কাছে সুপারিশ করবে বলে গেজেটে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর কারখানা মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে আরএমজি মজুরি বোর্ড এ খাতের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষোভরত পোশাক শ্রমিকরা গার্মেন্টস সেক্টরের সব শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছেন।
তারা বিদ্যমান ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৬৫ শতাংশ বেসিক বেতন এবং ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্টও চেয়েছিলেন।
গেজেটে বলা হয়েছে, ন্যূনতম মজুরি সমন্বয় করে এক বছর কাজ করার পর শ্রমিকরা বার্ষিক ভিত্তিতে বেসিক বেতনের ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর সংশ্লিষ্ট ধারা ও বিধি অনুসারে এই খাতের কাজের সময়, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ঠিক করা হবে।
গ্রেড অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি
গেজেট অনুযায়ী, সহকারী অপারেটর বা গ্রেড-৫ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা।
এছাড়া গ্রেড-১ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৮ হাজার ২০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪ হাজার ১০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, ভ্রমণ ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গ্রেড-২ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪ হাজার ১৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৯০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা।
গ্রেড-৩ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৭ হাজার ৪০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৭০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গ্রেড-৪ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৩ হাজার ২৫ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৭ হাজার ৫০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৫২ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।