ন্যাটোতে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই, বাইডেনের মন্তব্য পুরোই ‘ননসেন্স’: পুতিন
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জিতে গেলে রাশিয়া ন্যাটোভুক্ত দেশেও হামলা করতে পারে– মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্যকে একেবারেই 'ননসেন্স' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি জানিয়েছেন, সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে লড়াই করার কোনো আগ্রহ নেই রাশিয়ার।
১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর চলমান ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন গত বছর সতর্ক করে বলেছিলেন, ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘাটবে।
এ মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা বন্ধ না করতে রিপাবলিকানদের প্রতি এক অনুরোধে বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে জয়লাভ করলে রুশ নেতা থামবেন না; তিনি ন্যাটোর দেশেও আক্রমণ করবেন।
মার্কিন নেতার এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, "এগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা (ননসেন্স)। আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেও সেটি জানেন। রাশিয়ার ব্যাপারে নিজের নেওয়া ভুল নীতিকে বৈধতা দিতেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।"
"ন্যাটোর দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার লড়াইয়ের কোনো কারণ নেই; কোনো ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা সামরিক– কোনো ধরনের স্বার্থই সেখানে নেই," যোগ করেন পুতিন।
স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৪৯ সালে গঠিত হয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলেও এখনও টিকে আছে এই সামরিক জোট।
স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ন্যাটোর সম্প্রসারণকে রাশিয়া বরাবারই নিজের জন্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখে আসছে। এই জোটের সম্প্রসারণকে পশ্চিমাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রমাণ হিসাবে বারবার আখ্যা দিয়ে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।