চীন ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফল হলে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিষয়ে জনসচেতনতা এবং চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা।
অন্যদিকে দেশে সংক্রমণ এখনো চূঁড়ায় ওঠেনি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে 'পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক' পদ্ধতিতে লকডাউন দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
তবে হতাশার পাশাপাশি আশার কথাও শুনিয়েছে এই বিশেষজ্ঞ দল। চীন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটি বাংলাদেশকে দেবে বলেও তারা জানান।
গত ৮ জুন দুই সপ্তাহের জন্য ১০ সদস্যের একটি চীনা বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসে যারা নিজ দেশে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ঘুরে, অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে, সফরের শেষ দিকে এসে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তারা।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে করা ওই ভার্চুয়াল আয়োজনে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান হুয়ালং ইয়ান তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হুয়ালং ইয়ান বলেন, "বাংলাদেশ চীনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। চীনে এখন পাঁচটি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা করছে। চীনের কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হলে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেই ভ্যাকসিন দেবে চীন।"
বাংলাদেশে সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে ইয়ান বলেন, "বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও চূড়ায় পৌঁছেনি, কবে পৌঁছবে সেটা বলাও কঠিন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অবশ্যই পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লকডাউন করত হবে।"
তিনি বলেন, "এদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার খুবই অভাব। এটা দেখে চীনা চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ দল ভীষণ হতাশ।"
তিনি জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশকে চারটি সুপারিশসহ সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন জমা দেবে চীনা বিশেষজ্ঞ দল। এক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিবেদন চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।