টানা ছয় হারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শেষ বাংলাদেশের
নিজেদের শক্তির ফরম্যাট ওয়ানডেতেই ভালো সময় যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। টানা হার তো আছেই, কোনো ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আরও কঠিন হবে, এটা জানাই ছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। তেমনই হলো, আরেকটি ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বড় হার মেনে নিলো বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশের। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো ঘরের মাঠের দলটি। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ছয় হারে দুঃস্বপ্নের সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। শক্তির পার্থক্যে ফল হয়তো এমনই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সামান্যতম লড়াইও করতে না পারাটা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জন্য হতাশার।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। মাঝের কয়েক ওভারে দারুণ বোলিংয়ে অজিদের চেপে ধরলেও তাহলিয়া ম্যাকগ্রা ও গ্রেস হ্যারিসের ব্যাটে উতরে যায় অস্ট্রেলিয়া। এর আগে অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি খেলেন দারুণ এক ইনিংস। এই তিন ব্যাটারের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে বোলিংয়ের সামনে শুরুতেই দিক হারানো বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮.১ ওভারে ৭৮ রানেই অলআউট হয়ে যায়। অধিনায়ক জ্যোতি ছাড়া কেউ-ই লড়াই করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে আজই প্রথমবারের মতো ১০০ রানের নিচেই অলআউট হলো বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই ওপেনার মুর্শিদা খাতুনকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর যে উইকেট বৃষ্টি শুরু হয়, তা আর থামেনি। মাঝে কেবল প্রয়োজন অনযায়ী ব্যাটিং করেন জ্যোতি। ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৫টি চারে ইনিংস সেরা ৩২ রান করেন। এ ছাড়া দিলারা আক্তার ১২, রিতু মনি ১০ ও ফাহিমা খাতুন ১১ রান করেন।
এই চার ব্যাটারই কেবল দুই অঙ্কের রান করেন। বাকি সাত ব্যাটারের মধ্যে কেউ-ই ২ রানের বেশি করতে পারেননি, শূন্য রানে আউট হন তিনজন। অস্ট্রেলিয়ার টাইলা ভ্ল্যামিনক ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৩টি উইকেট নেন, ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। জর্জিয়া ওয়েরহ্যাম ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পান সিরিজসেরা সোফি মোলিনিয়াক্স, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, অ্যাশলে গার্ডনার, এলিস পেরি ও মেগান শাট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং করা সবাই পান উইকেটের দেখা।
এর আগে দলকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া হিলি ২৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে দাপুটে ব্যাটিং করা তাহলিয়া ২৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বেথ মুনি ১০, গার্ডনার ১৬ ও গ্রেস ১৯ রান দেন। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শরিফা খাতুন ও রাবেয়া খান।