শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে মার্কসবাদী নেতা কুমারা দিসানায়েক
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখনো এগিয়ে আছেন দেশটির মার্কসবাদী নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েক। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম দ্যা স্টেউটস টাইমস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটে এখনো দিসানায়েক এগিয়ে আছেন।
কয়েক বছর আগে গণঅভ্যুত্থানের পর এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার জনগণ। গতকাল শনিবারের এ নির্বাচনে এখনো ভোট গণনা চলছে। শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, প্রাথমিক গণনায় ৭ লাখ ভোটের মধ্যে ৬০ দশমিক ২১ ভোট পেয়েছে দিসানায়েকে।
শ্রীলঙ্কার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৩৯ জন। তবে ভোট গ্রহণ শেষে তিনজনের নাম আলোচনায় শোনা যাচ্ছে। তাঁদের একজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। একজন বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) নেতা ও গুপ্তহত্যার শিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসার ছেলে সাজিথ প্রেমাদাসা। অন্যজন ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে।
নির্বাচনে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে যে–ই জয়ী হোন, তাঁকে ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশটির বৈধ ১৭ মিলিয়ন (১ কোটি ৭০ লাখ) ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ গতকালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে রেকর্ড ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
এই নির্বাচনে দিসানায়েক ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে তার মার্কসবাদ-প্রবণ জনতা বিমুক্তি পেরেমুনা (জেপিভি) পার্টিও রয়েছে। এই দলটি ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ, কম কর এবং আরও কঠোর বাজার অর্থনৈতিক নীতি সমর্থন করে থাকে।
৫৫ বছর বয়সী দিসানায়েকে তার নির্বাচনী প্রচারণায় আইএমএফ-এর সাথে চুক্তির বিষয়ে পুনরায় আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে ঋণ খেলাপির ফলে শ্রীলঙ্কায় আয়কর দ্বিগুণ করা হয়েছিল। যাতে দেশটিতে ব্যাপক হারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।