বিডিবিএল প্রহরী খুন: ভল্টের হাতল ভাঙা
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ শাখার নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাসকে (২৩) খুন করে দুর্বৃত্তরা টাকা লুটের চেষ্টা করলেও টাকা কিংবা মূল্যবান কোনো কিছুই খোয়া যায়নি বলে দাবি করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিডিবিএল'র প্রধান কার্যালয় থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি তারাও ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন বিডিবিএল'র আশুগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোবাশ্বের হোসেন।
তিনি বলেন, ''দুইদিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। মাঝে-মধ্যে আমাদের কর্মকর্তারা বন্ধের দিনও আসেন। গতকাল ব্যাংকে এসে ভেতর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে আমরা থানায় খবর দেই। পরবর্তী সময়ে পুলিশ এসে রাজেশের মরদেহ উদ্ধার করে।''
''টাকার ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করছে, তবে ভল্ট থেকে কোনো টাকা খোয়া যায়নি। এ ছাড়া ব্যাংকের অন্যসব মূল্যবান জিনিসপত্র সবকিছুই ঠিক আছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে থানায় থানায় দায়েরের প্রস্তুতি চলছে'', উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর সংলগ্ন বিডিবিএল শাখা ভবনের ভেতর থেকে ব্যাংকটির নৈশপ্রহরী রাজেশের হাত-পা বাধা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার চান্দপুর গ্রামের ক্ষিরোদ বিশ্বাসের ছেলে।
দুর্বৃত্তরা রাজেশকে খুন করে ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা লুটের চেষ্টা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাংকের টাকার ভল্টের হাতল ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়। এ ছাড়া ব্যাংকের ভেতরে আলমিরা ও ড্রয়ারও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ভবনের পেছনের দিকের একটি জানালার গ্রিল কেটে ব্যাংকে প্রবেশ করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ব্যাংক থেকে কোনো কিছু খোয়া গেছে কি-না সেটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখনও আমাদের নিশ্চিত করেনি। আমরা ব্যাংকের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করছি। এখনও ভিকটিমের সুরতহাল চলছে, সুরতহাল শেষ হলে আমরা ধারণা করতে পারব কীভাবে তাকে মারা হয়েছে।