'ঢাকার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করলে এক মাসেই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনা সম্ভব'
ঢাকায় ব্যবহার উপযোগী রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করে যার যে অংশ ব্যবহারকারী তাদেরকে ফিরিয়ে দিলে এক মাসেই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন ট্রাফিক বিশেষজ্ঞরা। আজ (শনিবার) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম 'ভয়েস ফর রিফর্ম' আয়োজিত এক সংলাপে এমন মন্তব্য উঠে আসে।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মোঃ শিফুন নেওয়াজ বলেন, "ব্যবহার উপযোগী সড়ক পথচারীদের ফেরত দিন। আর যানবাহনের জায়গা যানবাহনের জন্য ফেরত দিন। এটা করতে এক মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।"
তিনি আরও বলেন, "ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা মূলত তিনটি পিলারের উপর ডিপেন্ড করে। রাস্তা, যানবাহন ও সড়ক ব্যবহারকারী। আমাদের শহরে যতোটুকো রাস্তা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। কিন্তু যতোটুকো আছে তা সম্পূর্ণ আমি কি ব্যবহার করতে পারছি?"
"আমাদের ফুটপাত মুক্ত হলে এক সুবিধা হচ্ছে যারা রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন তারা ফুটপাতে উঠে যাবে। ফুটপাত রাস্তা থেকে হকার মুক্ত করতে হবে। আমরা এখন যদি না পারি তাহলে আর কোনো দিন পারবো না", যোগ করেন তিনি।
ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম বলেন, "ঢাকার পরিবহনে যে সমস্যা সেটার সমাধান এখনই সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার দুটি কাজ শুরু করেছে। একটি হচ্ছে ঢাকার অন্তত একটি করিডোরে ট্রাফিক সিগনাল চালু করা এবং নগর পরিবহনের আন্ডারে বাসগুলোকে নিয়ে আসা।"
তিনি বলেন, "ঢাকায় প্রতিদিন ট্রিপ হয় ৪ কোটির মতো। কিন্তু মেট্রোরেল সেখানে সর্বোচ্চ ৪ লাখ যাত্রী পরিবহণ করে। তাই গণপরিবহনকে গুরুত্ব দিয়ে বাস রেশনাইলেজশনে না আসলে সমাধান হবে না।"
সিগমাইড এআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাফিক ডেটা বিশ্লেষক আবু আনাস শুভম বলেন, "ঢাকায় ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে না। যেটা হচ্ছে সেটা বিশৃঙ্খলা। ঢাকার রাস্তায় একইসাথে ২৪ ধরনের যানবাহন চলাচল করে। ফলে বিশৃঙ্খলা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এছাড়া ঢাকার অধিকাংশ রাস্তায় লেন মার্কিং নেই। আবার রাত ৮ টার পরে খুব লিমিটেড সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ ঢাকার রাস্তায় দেখা যায়।"