মার্কিন জাহাজের জন্য ‘হাস্যকর অঙ্কের ফি’, পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
পানামা খালের মধ্য দিয়ে মার্কিন জাহাজ পারাপারের জন্য পানামা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে অভিযোগ তুলে খালের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় দাবি করার হুমকি দিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ তিনি লেখেন, 'আমাদের নৌবাহিনী ও বাণিজ্যের সঙ্গে অত্যন্ত অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা একেবারেই হাস্যকর।'
তিনি আরও লেখেন, 'আমাদের দেশের ওপর পুরোদস্তুর এ "লুটপাট" অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।'
উল্লেখ্য, ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এ খালটি নির্মাণ করেছিল এবং কয়েক দশক ধরে এর আশপাশের অঞ্চল পরিচালনা করেছিল। তবে যৌথ প্রশাসনের সময় শেষে ১৯৯৯ সালে খালের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি পানামার হাতে তুলে দেয় ওয়াশিংটন।
ট্রাম্প খালের ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পানামা খাল আটালান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, 'খালটি শুধু পানামার পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়েছিল, চীন বা অন্য কারওর [পরিচালনার] জন্য নয়। আমরা এটি ভুল হাতে যেতে দেব না!'
ট্রাম্পের এ মন্তব্য বিরল। কারণ এর মাধ্যমে একজন মার্কিন নেতা হিসেবে তিনি সরাসরি একটি স্বাধীন দেশকে তার ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে জোর করতে পারেন — এমন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, 'এ খাল আমাদের ও পানামার সহযোগিতার নিদর্শন হিসেবে দেওয়া হয়েছিল, অন্য কারও সুবিধার জন্য নয়। যদি এ দানের নৈতিক ও আইনগত শর্ত পূরণ না হয়, তাহলে আমরা খালটি সম্পূর্ণরূপে এবং বিনাপ্রশ্নে ফেরত দাবি করব।'
এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে পানামার পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ সামুদ্রিক পণ্য পরিবহন পানামা খালের মাধ্যমে হয়। এটি এশিয়া ও মার্কিন পূর্ব উপকূলের মধ্যে জাহাজ চলাচলে দক্ষিণ আমেরিকার দীর্ঘ ও বিপজ্জনক পথ এড়াতে সহায়তা করে।
পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত অর্থবছরে খালটি প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড আয় করেছে।