‘নামেই আছি, কোনো মিটিংয়ে আমাকে ডাকে না’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। একইসঙ্গে তিনি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যানও। যদিও আকরাম খানের তত্ত্বাবধানে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কোনো কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
২০১৭ সালের শেষ দিকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান খালেদ মাহমুদ। তার এই দায়িত্ব পাওয়া কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও এই বিভাগের কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ।
ব্যাটিং ও স্পিন পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে কিছুই জানেন না খালেদ মাহমুদ। তার অভিযোগ, 'আমি তো ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান। কিন্তু আমি কিছুই জানি না। কোচ নিয়োগের বিষয়টি জেনেছি পত্রিকা-টেলিভিশন দেখে। আমাকে কেউ জানায়নি। হয়তো জৈব সুরক্ষা বলয়ে ছিলাম বলে, কিন্তু সেখানে তো আমার কাছে ফোন ছিল। কিন্তু আমাকে জানানো হয়নি।'
লঙ্কান সাবেক স্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে স্পিন পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই দায়িত্বে থাকবেন তিনি। খালেদ মাহমুদ জানালেন, তিনিই প্রথম হেরাথের কথা বোর্ডে বলেন। অথচ তার নিয়োগে খালেদ মাহমুদই কিছু জানেন না। তিনি বলেন, 'খবর শুনে জানলাম, অ্যাশওয়েল প্রিন্স এবং রঙ্গনা হেরাথকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হেরাথের কথা আমিই প্রথমে বলেছিলাম বিসিবিকে।'
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কোনো সভায় খালেদ মাহমুদকে ডাকা হয় না। মাঝে দুই বছর কোনো মেইলও পাননি তিনি। এ কারণে পদটি আছে কিনা, তা নিয়েই সন্দীহান খালেদ মাহমুদ, 'আমি আসলে ভাইস চেয়ারম্যান আছি কিনা, সেটাও আমি নিশ্চিত নই। নামে আছি হয়তো, কারণ কোনো মিটিংয়ে যাওয়া হয় না বা কখনও ডাকে না। মাঝের দুই বছর তো মেইলও পাইনি, এখন কিছু কিছু পাই।'
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তাকে সব ধরনের কাজ করার স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন জানিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, 'পাপন ভাই তো দায়িত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। এমন তো না যে এটা করতে পারব না, ওইটা করতে পারব না। তুমি এটা করলে কেন? এমন প্রশ্নও করেন না। আমি সব সময় যা চাই আমাকে সেভাবে সাপোর্ট দিয়ে গিয়েছেন। উনি উল্টা বলেন ম্যাচ কেন খেলে না, ম্যাচ খেললে তো শিখবে। আমার কথা হচ্ছে যে যদি আমাকে না জানানোর প্রয়োজন মনে করে, তো আমি জানব কীভাবে?'