রোমাঞ্চিত এজাজের মুখে সাবধানী বার্তা
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কেমন দল; তা সব প্রতিপক্ষেরই জানা। নিউজিল্যান্ড সেই ২০১০ সালেই ঘরের মাঠের বাংলাদেশকে চিনেছে। এরপর যতোবার তারা বাংলাদেশে এসেছে, ততোবারই সঙ্গী হয়েছে বাজে অভিজ্ঞতা। এ পথে অন্যান্য দলের মতো স্পিনে সবচেয়ে বেশি ধুঁকে থাকে কিউইরা।
আবার বাংলাদেশে খেলতে এসে কিউই স্পিনাররা স্বস্তির জায়গাও খুঁজে পায়। এখানকার ধীর গতি ও টার্নিং উইকেটে থাকে ভালো করার সম্ভাবনা। যদিও দলগতভাবে ভাবতে গেলেই বাড়ে দুশ্চিন্তা। কারণ প্রতিপক্ষকে কাবু করলেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা স্পিনের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং-ই করে।
এ যেন উভয় সঙ্কট! নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেলের কথায় সেটাই মনে হচ্ছে। বল হাতে ভালো করার সম্ভাবনা দেখতে পেরে রোমাঞ্চিত বাঁহাতি এই স্পিনার। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি মনে করিয়ে দিলেন, স্পিনের বিপক্ষে ভালো খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
নেটে বোলিং করে তৃপ্ত এজাজ। তিনি বলেন, 'দেশে আমরা যেমন পাই, অবশ্যই এখানে আলাদা। তবে এটা ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জও বয়ে আনে। আজ নেট করাটা দারুণ ছিল। কিছুটা ধারণা পেয়েছি, সামনে আমরা কী পাচ্ছি। খুব বেশি আশা নিয়ে নেটে যাইনি। শুধু কন্ডিশনের ধারণা নেওয়া ও সেভাবেই ম্যাচ পরিকল্পনা গড়ার চেষ্টা করা।'
প্রতিপক্ষের কন্ডিশনে তাদেরকে ছোট করে দেখার উপায় নেই, এটাও মনে করিয়ে দিলেন এজাজ। তার ভাষায়, 'কন্ডিশনের সহায়তা যখন মেলে, সব বোলারকেরই তা রোমাঞ্চিত করে। পাশাপাশি এটাও বুঝতে হবে, ওদের ব্যাটসম্যানরা স্পিন খুব ভালো খেলে। আমরা ওদের কন্ডিশনে খেলছি। এখানে ওরা অনেক বড় দলকে হারিয়েছে। ওদেরকে তাই হাল্কাভাবে নেওয়া যাবে না। নিশ্চিত করতে হবে যেন আমরা নিজেদের সেরাটা দিই।'
তিন বছর পর সাদা বলে খেলার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত এজাজ। ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় তার। ওই সিরিজে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেন এজাজ। এরপর আর ডাক মেলেনি কিউইদের হয়ে ১৮টি টেস্ট খেলা এই স্পিনারের।
সুযোগটাকে এবার কাজে লাগাতে প্রস্তুত ৩২ বছর বয়সী এজাজ, 'এই সফরে এটা নিয়েই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সাদা বলের ক্রিকেটে খেলার সুযোগ মিলছে, সামনে সাদা বলের ক্রিকেটে অনেক খেলা আছে আমাদের। সেদিকে মনোযোগ দিয়েই সুযোগটি নিতে চাই। অবশ্যই নাটকীয় কিছু করতে হবে, এমন চাপ নিজের ওপর নিচ্ছি না। শুধু মৌলিক ব্যাপারগুলো ধরে রাখা এবং নিজে যা ভালো পারি, তাই করে যাওয়ার চেষ্টা করব।'