মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত আইএস-কে’র গাড়িবোমা হামলাকারী
বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ির মাধ্যমে হামলার ছক কষেছিল সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসআইএস- এর খোরাসান শাখা (আইএস-কে)। কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এ হামলা চালানো হলে আবারো বিপুল প্রাণহানির শঙ্কা ছিল। কিন্তু, মার্কিন বাহিনীর মনুষ্যবিহীন বিমান (ড্রোন) থেকে ছোঁড়া ক্ষেপনাস্ত্র তার আগেই হামলাকারী চালকসহ গাড়িটি ধ্বংস করে দিয়েছে।
সেনা প্রত্যাহারের সর্বশেষ সময়সীমা আর মাত্র দুই দিন থাকতেই এ হামলা চালানো হয় রোববার (২৯ আগস্ট)। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার আইএস-কে কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলা চালালে ১৩ জন মার্কিন সেনা সদস্যসহ অসংখ্য সাধারণ আফগানের মৃত্যু হয়। এরপর আজ রোববার দ্বিতীয়বারের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির ওপর বিমান হামলা করলো যুক্তরাষ্ট্র।
সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাইডেন প্রশাসনও। গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অকপটে স্বীকার করেন যে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধার তৎপরতা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা তাঁকে আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই পুনরায় সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন বাইডেন।
ফিরিয়ে আনার সময় মার্কিন সেনাদের ওপর আইএস- এর স্থানীয় শাখাটির রকেট ও গাড়ি বোমা হামলা নিয়েই তারা বেশি চিন্তিত বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।
- সূত্র: রয়টার্স