বিশ্বকাপের আয়োজক হতে আইসিসিতে বিসিবির আবেদন
এককভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন হতে আইসিসিতে আবেদন করবে বাংলাদেশ- এমন গুঞ্জন বেশ আগের। তবে এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ নেই বাংলাদেশের। একক আয়োজক হতে যে কয়টা ভেন্যু (ওয়ানডের ১০টা ও টি-টোয়েন্টির ৮টি ভেন্যু) দরকার, তা বাংলাদেশের নেই। তাই শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে আইসিসিতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই নয়, ওয়ানডের বিশ্বকাপেরও আয়োজক হতে চায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হতেও আবেদন করেছে বিসিবি। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এককভাবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হতে আবেদন করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
মঙ্গলবার বিসিবির ১২তম বোর্ড সভা শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন বিসিসি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, 'আমরা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একক আয়োজক হতে আবেদন করেছি। কারণ এই ইভেন্ট করার জন্য যে কয়টা স্টেডিয়াম দরকার, সেটা আমাদের আছে।'
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে যৌথ আয়োজক হওয়া ছাড়া উপায় নেই বিসিবির। নাজমুল হাসান বলেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে আবেদন করেছি। ওই বিশ্বকাপের জন্য যে পরিমাণ স্টেডিয়াম দরকার, সেটা আমাদের নেই; দুটো দেশ মিলে করা যায়। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য আমরা তিনটা দেশ; বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান মিলে আবেদন করেছি।'
বিশ্বকাপের আয়োজক হতে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেই অনুমতি ইতোমধ্যে বিসিবি পেয়েছে বলে জানান নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, 'সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি বা গ্যারান্টির দরকার ছিল। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এই সংক্রান্ত অনুমতি নেওয়ার যে পত্র দরকার হয়, সেটার প্রথম পত্রই পেয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে, ওনার নিজের স্বাক্ষর করা। এখানে যদি কোনো টুর্নামেন্ট হয়, সব দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।'
২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ আয়োজক থাকলেও পাকিস্তানে কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশ ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করে। এ ছাড়া ২০১৬ যুব বিশ্বকাপেরও আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।