সৌদি আরবের খেজুরসহ চার ফসলে একর প্রতি ১০ লাখ টাকা ঋণ
চলতি অর্থবছরের কৃষি-পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী, সৌদি আরবের খেজুরসহ নতুন চার ফসলে কৃষি ঋণ দিবে সকল তফসিলি ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নতুন করে ভিয়েতনামী নারিকেল, সুইট কর্ণ ও কফি চাষের জন্য ঋণের আওতায় আনা হয়েছে।
সৌদি খেজুর চাষে একর প্রতি ১০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা ঋণ পাবেন একজন কৃষক। ভিয়েতনামী নারিকেল উৎপাদনে একজন কৃষককে চার লাখ ২৯ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া সুইট কর্ণ চাষে একর প্রতি ৬৬ হাজার টাকা এবং কফি চাষ করার জন্য একরে সর্বোচ্চ তিন লাখ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হবে প্রতি কৃষককে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, এ ঋণ কৃষকরা বছরের যেকোন সময়ে নিতে পারবেন। তবে সুইট কর্ণে ঋণ দেয়া হবে ১৫ নভেম্বর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের স্বাভাবিক সময়সীমা ফসল সংগ্রহের পর থেকেই শরু হবে।
চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে সরকারি খাতের ব্যাংক ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করবে।
গত অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা।
কোভিড প্রভাব বেশি দেখা দিলে চলতি বছরের এপ্রিলে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর কৃষি খাতের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদের প্রণোদনার ঋণ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার কৃষি খাতের জন্য আরও ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য ও ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানত ছাড়াই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। ঋণের সুদের হার আগের মতো ৪ শতাংশই থাকছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই তহবিলের টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরবরাহ করবে। তহবিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।