নড়বড়ে নব্বই ও মুশফিকের ‘চট্টগ্রাম’ আক্ষেপ
১৭ বছর বয়সে অভিষেক। এরপর দলে সুযোগ পাওয়া, না পাওয়ার দোলাচলে থাকতে থাকতে বেড়ে যায় বেলা। পেরিয়ে যায় পাঁচ বছর, নামের পাশে যোগ হয় ১৬ টেস্ট। কিন্তু সেঞ্চুরির দেখা নেই। ২০১০ সালে গিয়ে অপেক্ষা ফুরায় মুশফিকুর রহিমের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
মুশফিকের সুখের ডায়েরিতে চট্টগ্রাম নামটি জ্বলজ্বলেই থাকার কথা। আদতে যদিও তেমন নয়, এখানেই সবচেয়ে বেশি আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। সেই ২০১০ সালে যে চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান, আর মেলেনি সেঞ্চুরির দেখা। উল্টো এখানেই হতাশার শেষ নেই তার। এই জহুর আহমেদেই বারবার সেঞ্চুরির সলিল সমাধি হয়েছে মুশফিকের।
১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬টি (চলতি ম্যাচসহ) টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। করেছেন সাতটি সেঞ্চুরি, একেবারে কাছে গিয়েও করতে পারেননি চারটি সেঞ্চুরি। ৯০ এর ঘরে চারবার আউট হয়েছেন মুশফিক। এর মধ্যে চট্টগ্রামেই তিনবার খেই হারিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে আরও একবার হতাশায় পুড়তে হলো তাকে।
চলতি টেস্টের প্রথম দিনে দারুণ ব্যাটিং করেন মুশফিক। প্রথম দিন শেষে ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটিং কাণ্ডারি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তাকে সাবলীল দেখাচ্ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ প্রথম ওভার করতে এসেই তাকে ফিরিয়ে দেন। ৯১ রানে থেমে যায় মুশফিকের ইনিংস, না পাওয়ার তালিকায় যোগ হয় আরেকটি আক্ষেপ।
২০১০ সালে চট্টগ্রামে ১০১ রানের ইনিংস খেলে সেঞ্চুরি খরা কাটান মুশফিক। এরপর আর পারেননি সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে। প্রথম সেঞ্চুরির দুই মাস পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রান করে তিনি। ২০১৩ সালে নব্বইয়ের ঘরে আবারও খেই হারান মুশফিক। ছয় বছর পর চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ রানে থামেন তিনি। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে থামলেন ৯১ রানে। নব্বইয়ের ঘরে আউট হওয়া তার বাকি ইনিংসটি ৯৩ রানের, জিম্বাবুয়ের হারারেতে।
টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে নব্বইয়ের ঘরে সবচেয়ে বেশিবার আউট হয়েছেন মুশফিক। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল আউট হয়েছেন তিনবার করে। এ ছাড়া হাবিবুল বাশার, লিটন কুমার দাস ও নাসির হোসেন দুবার নার্ভাস নাইন্টিজে খেই হারান। মোহাম্মদ আশরাফুল ও শাহরিয়ার নাফিস আউট হয়েছেন একবার করে।