ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থা জানালেন পাপন
জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলে দেশে ফেরা জাতীয় নারী দলের দুই ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্তের খবর আগেই জানা গিয়েছিল। আশঙ্কা করা হয়েছিল ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন তারা। কয়েকদিন পর আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। আজ শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে দুই নারী ক্রিকেটারের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা দুজনই সুস্থ আছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও একই তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আক্রান্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।
বিসিবি সভাপতি বলেন, 'পুরো দল একসাথেই ছিল। অন্যরা সবাই নেগেটিভই আছে। যাদের হয়েছে, তাদের একেবারেই উপসর্গ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওদের সাথে কথা বলেছি। জ্বর, শরীর ব্যথা কিছুই নেই। বুঝতেই পারেনি এখনও ওদের যে করোনা হয়েছে। সেদিক দিয়ে বলব এটা একটা বিরাট সুখবর।'
এই সময়ে কোভিড প্রটোকল কীভাবে মানা হচ্ছে, সেটা জানাতে গিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, 'আইসোলেশন শতভাগ মানা হচ্ছে। এটা করোনা হলেও যা, না হলেও তা। জৈব সুরক্ষা বলয়ে তো এটা মানতেই হবে। প্রথম থেকেই তারা আলাদা একটি কোভিড ডেডিকেটেড ফ্লোরে আইসোলেশনে ছিল। সে জন্য অন্য কেউ আক্রান্ত হয়নি। ওরাও এক রুম থেকে অন্য রুমে যেতে পারেনি। যে প্রটোকল ছিল, সেটাই অনুসরণ করা হয়েছে।'
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে জিম্বাবুয়ে থেকে নারী ক্রিকেটারদের ঢাকায় ফিরতে হয় কয়েকটি দেশ ঘুরে! এ কারণে দেশে ফেরার পর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় দলের সবাইকে। আফ্রিকার সাতটি দেশে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ ফ্লাইটই স্থগিত করে দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। দেশে ফেরার ফ্লাইট পেতে দেরি হচ্ছিল নারী দলের, যে কারণে নির্ধারিত সময়ে রওনা দিতে পারেনি দল।
জিম্বাবুয়েতে বাছাই পর্ব বাতিল হওয়াতে কপাল খুলেছে বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে নারী দল। সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত র্যাঙ্কিয়ের সেরা আটে থাকা দলগুলো আগামী বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে অংশ নেবে। বাংলাদেশ সেরা আটের মধ্যে থাকায় সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে গেছে।