পাঞ্জাবের সাবেক সফল মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী
মেট্রোরেল, অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, পরিবেশ সচেতনতা, প্রাচীন দালান ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ, পর্যটনবান্ধব পরিবেশ, নারীর নিরাপত্তা, শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা, আইনশৃংখলা রক্ষা, পাঞ্জাবে কৃষক স্বার্থে কাজ করা, কন্যা শিশু শিক্ষার ওপর জোর দেয়া, স্কুলের বাইরে যেন কোনো শিশু না থাকে এমন উদ্যোগ, অধিকার বঞ্চিতদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প, ধর্মান্ধতার বিপরীতে সুফি চর্চার স্বার্থে খ্যাতিমান কবি ও সংগীত শিল্পীদের শেষ ঠিকানায় মিলনতীর্থ গড়ে তোলা; এমন অনেক কাজ করে সুকৃতির স্বাক্ষর রেখেছেন শাহবাজ শরিফ।
কমখরচে আনন্দে বাস করা যায় এমন শহর লাহোর। কেবল বাতাসে সীসার মাত্রা ঢাকা-দিল্লির মতো আশঙ্কাজনক।
বড় ভাই নওয়াজকে দেশত্যাগে বাধ্য করার পর থেকে দুর্নীতি মামলায় শাহবাজকেও পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তার সব সামর্থ্য ও গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে শাহবাজকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে পারেনি। গত তিন বছরের তিক্ততায় শাহবাজ আজকাল দরবেশের মতো রেগে ওঠেন। অথচ তিনি সদা হাসিখুশী মানুষ।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো। শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিকভাবেই ভালো সম্পর্ক; দুই ভাই-ই শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা করেন। ১৯৭১-এর আগে ঢাকায় শরিফ পরিবারের ইত্তেফাক কোম্পানির ব্যবসা ও বাড়িঘর ছিল। সেখানে সংস্কৃতিমনারা দেশপ্রেমের পুরস্কারসুলভ দখল নিয়ে এখন রবীন্দ্র সংগীত শোনেন আর পাকি গালির নান্দনিকতা শিক্ষা দেন নতুন প্রজন্মকে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে শরিফ পরিবারের অবস্থান খুবই 'পলিটিক্যালি কারেক্ট'। এতো সম্পদ বাড়িঘর হারিয়ে এসেও, পাকিস্তানী খুনে সেনাদের হত্যাযজ্ঞে শরিফ পরিবার অনুতাপ প্রকাশ করেন সহজাতভাবে। শরিফ ব্রাদার্স তাদের দলীয় সভায়, শেখ মুজিবের নেতৃত্বের প্রশংসা করে- তা অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছেন দলীয় কর্মীদের প্রতি বেশ কয়েকবার। করাচির একটি সভায় এই বক্তব্য আমি শুনেছিলাম। পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ফেসবুকেও সে ভিডিও দর্শকরা দেখেছিল কিছুকাল।
- লেখক: শিক্ষক ও সাংবাদিক
- লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত