মারিউপোলে চূড়ান্ত সংঘর্ষ হতে পারে আজ
রোববার ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোলে রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা।
মারিউপোলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সহজ হবে আরও।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন সহযোগী ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছেন, "রাশিয়ান সৈন্যরা যতো দ্রুত সম্ভব আজভস্তালে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পরাজিত করছে চাইছে।"
আগামীকাল (৯মে) রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উপহার দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিধ্বস্তপ্রায় আজভস্তাল ইষ্পাত কারখানা প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা বাহিনী জানিয়েছে, কারখানা খালি করার জন্য রাশিয়ান বাহিনীর আক্রমণের সময় এক ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন শনিবার কারখানা থেকে শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনী আবারও তাদের অভিযান শুরু করেছে। কারখানায় আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আলোচনার মধ্যেই আক্রমণ শুরু করে তারা।
মারিউপোল শহরে আজভস্তালই ছিল ইউক্রেনীয় সেনাদের শেষ ঘাঁটি, এটি দখল করতে পারলেই রাশিয়ান বাহিনীর শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্ভব হবে। ফলে দ্রুত এ অঞ্চল দখল করে পুতিনকে বিজয় দিবসের উপহার দতে চাইছে রাশিয়ান বাহিনী।
মস্কোর এই প্রতীকী বিজয়ের জন্য দ্রুত এ অঞ্চল দখলে নিতে ক্ষেপণাস্ত্র, কামান, বোমা ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
বিজয় দিবস উদযাপন করতে ৮টি মিগ-২৯ ফাইটার জেট উড়ানো হবে মস্কোর রেড স্কয়ারের ওপর, জেটগুলো উড়বে 'জেড' আকৃতিতে। ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর আক্রমণ উদযাপনে এই পদক্ষেপ।
রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পারমাণবিক হামলা হুমকি দিলেও সিআইএ'র ডিরেক্টর বিল বার্নস শনিবার বলেছেন, "রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে এমন কোনো বাস্তবিক প্রমাণ পাইনি আমরা"।
শনিবার জেলেনস্কি বলেছেন, খারকিভ অঞ্চলের একটি যাদুঘরে আঘাত হেনেছে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র। "রাশিয়ান সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই প্রায় ২০০টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে", বলেন তিনি।
এদিকে, আজ পূর্ব ইউক্রেনের একটি বিদ্যালয়ে রাশিয়ান বিমান হামলার পরে প্রায় ৬০ জনের বেশি নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিলোহোরিভকা গ্রামের ওই বিদ্যালয়-ভবনটিতে প্রায় ৯০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলার পর এটিতে আগুন ধরে যায়।