বিশ্বজয়ী দুই যুবার ব্যাটে মোহামেডানকে হারাল শাইনপুকুর
তাদের হাত ধরে রচিত হয়েছে ইতিহাস। বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোনো পর্যায়ের দল যা করে দেখাতে পারেনি, বাংলাদেশ যুব দল সেটা করেছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্ব জয় করে বীরের বেশে দেশে ফেরা যুব দলের ক্রিকেটাররা বিশ্রামের জন্য খুব বেশি সময় পাননি।
দেশে ফিরেই ম্যাচ খেলতে নামতে হয় আকবর আলী, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিমদের। এখানেও একই ধারায় আছেন যুব দলের ক্রিকেটাররা। বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও নিজেদের জাত চেনাচ্ছেন তারা। সোমবার দুই যুবার ব্যাটে জয় পেয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
ম্যাচ সেরা তানজিদ হাসান তামিম ও তৌহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার পর থেকে রান করে যাচ্ছেন তানজিদ হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ১২৫ রান করা তানজিদ বিসিএলেও রানের দেখা পান। এবার প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই করলেন হাফ সেঞ্চুরি।
সোমবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৮ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। জবাবে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন তানজিদ ও সাব্বির হোসেন। সাব্বির ২৫ রান করে ফিরলেও তানজিদ খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। এরপর রবিউল ইসলামের ৫৪, অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়ের ৫০ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৪৯ রানে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় শাইনপুকুর।
এরআগে ব্যাটিং করা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ভালোই শুরু করে। উদ্বোধনী জুটিতে ৬১ রান পায় দলটি। দলটির প্রথম ৫ জন ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পান। দুই ওপেনার অভিষেক মিত্র ২৯ ও আব্দুল মজিদ ৪২ রান করেন।
সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান লিমন। এ ছাড়া শামসুর রহমান শুভ ২৫ ও শুভাগত হোম ৩১ রান করেন। শাইনপুকুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মোহর শেখ অন্তর ও তানভির ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন হাসান মুরাদ ও রবিউল হক।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব-খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি
দিনের আরেক ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) চার নম্বর মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৫৫ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান তোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। জবাবে ৯ উইকেটে ২২১ রানে থামে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির ইনিংস।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে খেলাঘরের কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। এ ছাড়া ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ২৯, মাসুম খান ৩২ ও ইরফান হোসেন ২৪ রান করেন। শেখ জামালের সোহরাওয়ার্দী শুভ, ইলিয়াস সানি ও সালাউদ্দিন শাকিল ২টি করে উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা শেখ জামাল ভালো শুরু না পেলেও দলকে চাপ বুঝতে দেননি ওপেনার সৈকত আলী। ৭৯ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর শেখ জামালের রানের চাকা ঘুরিয়েছেন নাসির হোসেন ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এই দুই ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরি করেন।
নাসির ৫৬ ও সোহান ৫৮ রান করেন। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী শুভ ২৫ ও জিয়াউর রহমান ২৪ রান করেন। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির ইরফান হোসেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। খালেদ আহমেদ ও মাসুম খান ২টি করে উইকেট পান।