‘পান্থকুঞ্জে ৫০ দিন’: এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নিয়ে গাছ রক্ষা আন্দোলনের প্রতিবাদ অব্যাহত
হাতিরঝিল জলাধার ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত চলমান এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সংযোগ সড়ক বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি শুক্রবার ৫০তম দিনে পৌঁছেছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) পান্থকুঞ্জে এক নাগরিক ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারী অধিকারকর্মী শিরীন হক। বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আমিরুল রাজিবের সঞ্চালনায় মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান।
তিনি বলেন, "বিশ্বের অনেক দেশে যানজট কমাতে ফ্লাইওভার ভেঙে হাঁটা ও সাইকেল বান্ধব শহর গড়ে তোলা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ উল্টো পথে হাঁটছে। এক্সপ্রেসওয়ের ১৯টি র্যাম্প শহরের যানজট কমানোর বদলে আরও বাড়াবে।"
বক্তারা জানান, প্রকল্পের ফলে পান্থকুঞ্জ পার্কের প্রায় ৪০ প্রজাতির ২০০০ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে, যা শুধু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, ঢাকার নাগরিকদের জীবনমানকেও প্রভাবিত করবে।
লেখক ও গবেষক কল্লোল মোস্তফা বলেন, "এই প্রকল্প আসলে কিছু দেশি-বিদেশি দালালের পকেট ভারী করার জন্যই করা হয়েছে।"
বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শায়ের গফুর বলেন, "এ ধরনের প্রকল্পে স্থানীয় পেশাজীবীরা যুক্ত হয়ে নিজেদের স্বার্থে কাজ করছেন, প্রকৃতির সংরক্ষণের দায়িত্ব নিচ্ছেন না।"
বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, "এই প্রকল্পের পরিবেশ সমীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিবেদন যারা প্রস্তুত করেছে, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি।"
সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গান পরিবেশন করেন ফারাহ দিবা তাসনিম, ছোট পরশ দেওয়ান, তেঁতুলতলা সহযাত্রী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, মুয়ীয মাহফুজ, বেতাল, তানভীর আনজুম ধ্রুবসহ বিভিন্ন শিল্পী ও সংগঠন।