সবচেয়ে কম বয়সী উপন্যাস সিরিজ রচয়িতা: ১২ বছর বয়সেই গিনেস বুকে নাম সৌদি বালিকার
বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী উপন্যাস সিরিজ রচয়িতা হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নিজের করে নিয়েছে সৌদি বালিকা রিতাজ আলহাজমি। তার বয়স মাত্র ১২ বছর।
ইতোমধ্যেই ইংরেজিতে লেখা তার একটি উপন্যাস সিরিজের তিনটি বই প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে দুটি উপন্যাস প্রকাশ পেয়েছে তার গত জন্মদিনেরও আগে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দৈনিক দ্য ন্যাশনালকে রিতাজ বলে, 'পরিবারের লোকেরা যখন জানালেন, গিনেস বুকে আমার নাম উঠেছে, বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না!'
সে জানায়, তিন বছর আগে এই সিরিজের প্রথম উপন্যাসটি প্রকাশের পর থেকেই এমন কিছুর কথা ভাবছিল। অবশ্য, গত অক্টোবরে এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র সে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়।
'আমরা সেই তখন থেকেই অ্যাওয়ার্ডটির অপেক্ষা করছি। সে (রিতাজ) গত নভেম্বরেই এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছে, এ তথ্য তারা (গিনেস কর্তৃপক্ষ) মাত্র এ সপ্তাহেই আমাদের নিশ্চিত করল," বলেন রিতাজের বাবা হুসেইন আলহাজমি।
পারিবারিক পরিমণ্ডলে অল্প বয়সেই বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন বইপত্র পাওয়া এই বালিকা ঔপন্যাসিক গত বছর একটি প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
রিতাজ বলে, 'বাবা-মা আমাকে হরদম লাইব্রেরি আর শিশুদের কর্মশালাগুলোতে নিয়ে যান। সেখান থেকেই আমি ফিকশনের ধারণা ও লেখালেখির সৃজনশীল দুনিয়ার সন্ধান পেয়েছি।'
সহসাই কল্পনার জগতের প্রেমে পড়ে যাওয়া এই বালিকা আরও বলে, 'যেকোনো আইডিয়া নিয়েই লেখালেখি করা সম্ভব- ব্যাপারটি আমার ভালো লেগে যায়; তাই ঠিক করি, নিজেই লিখব।'
'ট্রিজার অব দ্য লস্ট সি' সিরিজের জন্য গিনেস বুকে নাম ওঠল তার। এই সিরিজের প্রকাশিত তিনটি বই- ''ট্রিজার অব দ্য লস্ট সি', 'পোর্টাল অব দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড' ও 'বিয়ন্ড দ্য ফিউচার ওয়ার্ল্ড'।
তৃতীয় বইটি সায়েন্স ফিকশন ধারার। রিতাজ বলে, এ বইয়ে 'আমি নতুন জীব ও রোবট হাজির করেছি। দুনিয়াজুড়ে ভ্রমণও হাজির করেছি আমি।'
নিজের চতুর্থ বই 'ফ্যান্সি স্কাই' লেখায় ব্যস্ত সময় কাটছে এখন তার; তবে এটি ওই সিরিজের অংশ নয়।
'নিজের সত্যিকারের নিয়তির সন্ধান চালানো এক বালিকা নিয়ে এটির কাহিনি। এখানে কিছু পৌরাণিক জীব-জন্তুরও দেখা পাওয়া যাবে,' বলে রিতাজ।
আরও বেশকিছু লেখার ভাবনা মাথায় রয়েছে, জানিয়ে সৌদি এই লেখিকা বলে, 'লেখালেখি করে একদিন নোবেল পেতে পাই।'
'আমার বয়সী শিশুদের লেখালেখি শুরু করতে এবং তারা চাইলে যেকোনো কিছুই অর্জন করতে পারবে, এ ব্যাপারে যেন প্রেরণা জোগাতে পারি, সেজন্য নিজে একটি অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার চ্যালেঞ্জে নিজেকে ঠেলে দিয়েছিলাম,' বলে রিতাজ আলহাজমি।
- সূত্র: দ্য ন্যাশনাল