বিদেশিদের মক্কা ও মদিনায় সম্পত্তিতে বিনিয়োগের সুযোগ দেবে সৌদি আরব
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/28/saudi.jpg)
মক্কা ও মদিনায় রিয়েল এস্টেট মালিকানায় পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানিতে বিদেশিদের বিনিয়োগের অনুমতি দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
ক্যাপিটাল মার্কেট অথোরিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার থেকে বিদেশিরা মক্কা ও মদিনায় বেসরকারি বা সরকারি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির শেয়ার এবং রূপান্তরযোগ্য ঋণপত্র কিনতে পারবেন।
সৌদি আরবের শহরগুলোতে অমুসলিমদের সরাসরি সম্পত্তির মালিকানা নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে, অনেকের কাছে এটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত।
মক্কা ও মদিনা মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কেন্দ্র। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ এসব শহরে হজ ও উমরাহতে অংশ নিতে আসেন। এটি সৌদি আরবের হোটেল এবং অন্যান্য সেবা খাতের নিয়মিত আয়ের উৎস।
বিশ্বব্যাপী এবং দেশীয় বিনিয়োগ প্রচেষ্টার পরও সৌদি আরবের অর্থনীতি এখনও তেলের আয়ের ওপর নির্ভরশীল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অনুমান অনুযায়ী, সৌদি আরবের বাজেট সমন্বয়ের জন্য তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৯৬ ডলার হওয়া প্রয়োজন, যা বর্তমান দামের তুলনায় প্রায় ২০ ডলার বেশি।
সৌদি আরব খরচের জন্য বিদেশী বাজারের পরিবর্তে স্থানীয় বাজারে অধিক মনোযোগ দিয়েছে। ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুবাদালা সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-কে (পিআইএফ) পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় সার্বভৌম সম্পদ তহবিলে পরিণত হয়েছে।
গ্লোবাল এসডব্লিউএফ-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিআইএফ-এর খরচ ২০২৪ সালে ৩৭ শতাংশ কমে ১৯.৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত বছর এই খরচ ছিল ৩১.৬ বিলিয়ন ডলার।
সৌদি আরব তার প্রকল্পগুলোতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কম পেলেও, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা সৌদি ঋণের প্রতি ভালোভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে।
ব্লুমবার্গ বলেছে, "১২ বিলিয়ন ডলারের বন্ডের জন্য বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাব ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।"
২০২৪ সালে সৌদি আরব ১৭ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বন্ড বিক্রি করেছে। বন্ড বিক্রিতে সৌদি আরব উন্নয়নশীল বাজারগুলোর মধ্যে রোমানিয়ার পর দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।